আইপিএলে নয়া দুই দলের সংযোজন ঘটল। ২০২২ থেকে ৮ দল নয়, ১০ দল নিয়ে টুর্নামেন্টের মেগা সম্প্রসারণের পথে একধাপ এগোল বিসিসিআই। আদানি গ্রুপ থেকে গ্লেজার পরিবার আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার দৌড়ে ছিল বিরাট বিরাট সমস্ত নাম। তবে সেই পর্যন্ত নিলামে বিশাল অঙ্কের দর হেঁকে বাজিমাত করল আরপিএসজি গ্রুপ এবং ইরেলিয়া বাগ।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ বিরাট ৭০৯০ কোটিতে কিনল লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি। অন্যদিকে, আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কিনতে সিভিসি গ্রুপকে খরচ করতে হল ৫৬২৫ কোটি টাকা। শীর্ষে থাকা আরপিএসজি গ্রুপের সঙ্গে সিভিসি গ্রুপের অর্থের ফারাকেই স্পষ্ট আইপিএলে দল কিনতে এবার কতটা উদগ্রীব ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। এর আগে রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টস দলের হয়ে আইপিএলে দেখা গিয়েছিল সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপকে। তারপরে লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি জার্সিতে এবারে সরাসরি মেগা প্রত্যাবর্তন গোয়েঙ্কার।
আরও পড়ুন: ৭০০০ কোটিতে আইপিএলে দল গোয়েঙ্কার! দুই নয়া শহরের নাম-ও চূড়ান্ত
নিলামের জন্য আইপিএলে দল কেনার জন্য দরপত্র সংগ্রহ করেছিল ২২টি সংস্থা। তবে দুবাইয়ে ওয়াক-ইন বিড ইভেন্টে হাজির ছিল মাত্র ৯ সংস্থার প্রতিনিধি।
মুখবন্ধ খাম থেকে ইচ্ছুক সংস্থাগুলোর দরপত্র প্রকাশ্যে আনার পরেই জানা যায় কোন সংস্থা কত টাকার বিড জমা দিয়েছে। ৭০০০ কোটি টাকার বিড জমা দিয়েছে একজনই- সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ। ৫০০০+ কোটির অঙ্ক জমা দিয়েছিল দুই সংস্থা। ৪০০০+ কোটির দর হেঁকেছিল ছয় সংস্থা। নিলামের বিস্তারিত বিবরণ শেয়ার করেছেন আরপিএসজি গ্রুপের হর্ষ গোয়েঙ্কা।
আইপিএলে দল কেনা নিশ্চিত করার পরে আরপিএসজি গ্রুপ জানিয়ে দেয়, "স্রেফ প্যাশন থেকেই কয়েকশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি। লাইসেন্স ফি বাবদ বিসিসিআইকে যত টাকা দিতে হবে তার থেকে বেশি অর্থ লাভ করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। ১০ বছরের ক্ষেত্রে এটা ভাল বিনিয়োগ।"
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের জয়ে ভারতে কেন বাজি ফাটানো হচ্ছে! মেজাজ হারিয়ে বিস্ফোরণ শেওয়াগের
বর্তমানে আট ফ্র্যাঞ্চাইজি চার জন করে ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। বাকিদের নিলামের জন্য রিলিজ করে দিতে হবে। দল ঘোষণার পরেই আগামী মেগা নিলাম ঠিক করে ফেলা হবে বোর্ডের তরফে। মেগা নিলাম থেকে কেমন দল গঠন করে আরপিএসজি গ্রুপ সেদিকেই নজর ক্রিকেট বিশ্বের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন