সাতবার সন্তোষ ট্রফিজয়ী কোচের ওপরেই ভরসা রাখল ইস্টবেঙ্গল। যুব দলের দায়িত্বে চুক্তি বাড়ানো হল বিনো জর্জের। এক বছরের মেয়াদে ইস্টবেঙ্গলের স্টিফেন কনস্টানটাইনের সহকারী কোচের পদে এসেছিলেন। সেই সঙ্গে যুব দলের কোচের দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছিল কেরালার কোচের হাতে। মেয়াদ শেষে আরও তিন বছর বাড়ানো হল বিনোর চুক্তি। ২০২৬ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলেই থাকছেন তিনি।
স্টিফেন কনস্টানটাইন জমানা খতম হয়েছিল সুপার কাপের পরেই। নতুন কোচ হিসেবে লাল হলুদ সিংহাসনে বসেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। এমন অবস্থায় বিনোকে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে ইমামি এবং ইস্টবেঙ্গলের যৌথ সম্মতিতে বিনোর চাকরি রয়ে গেল।
কোচিংয়ে ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্যের স্বাদ দিয়েছেন বিনো জর্জ। রিজার্ভ দলকে।নিয়ে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে ইস্টার্ন জোনে চ্যাম্পিয়ন করেছেন লাল-হলুদকে। জাতীয় পর্যায়ে ও আশাতীত সাফল্য এনে দিয়েছেন। ইস্টার্ন জোনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট লিগে জাতীয় স্তরে গ্রুপ পর্যায়ে চারটে ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে মাত্র এক পয়েন্টের ফারাকে সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।
তিনি আসন্ন মরশুমে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দেশীয় সহকারী কোচ হিসাবে থাকবেন। জাতীয় স্তরে ফুটবলার বাছাইয়েই কোচকে সাহায্য করবেন। এমনিতে স্টিফেন কনস্টানটাইন জমানার হতাশা কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবার পুনরায় ঢেলে সাজাচ্ছে দল। কুয়াদ্রাত নিজে বিদেশি বাছাইয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। জানা যাচ্ছে স্প্যানিশ কোচের পরামর্শ মেনেই হায়দরাবাদের দুই স্প্যানিশ জেভিয়ের সিভেরিও এবং বোরহা হেরেরার সঙ্গে চুক্তি পাকা করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটনের সঙ্গে আপফ্রন্টে জুটি বাঁধবেন হেরেরা।
ইভান গঞ্জালেজের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি রয়েছে লাল-হলুদের। জর্ডন দোহার্তির সঙ্গে চুক্তি খতম। তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবীকরণের পথে হাঁটছে না ইস্টবেঙ্গল। সেই হিসাবে ছয় বিদেশির মধ্যে চার বিদেশি চূড়ান্ত। ইভানের সঙ্গে স্টপার হিসাবে একজনকে নেবে ইস্টবেঙ্গল। সেই সঙ্গে মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে একজন বিদেশিকে নেওয়া হবে। এশীয় কোটার বিদেশি হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যেও খোঁজ চালাচ্ছেন দল গঠনের সঙ্গে যুক্ত কর্তারা।
সূত্রের খবর, জুনের প্ৰথম সপ্তাহেই ইস্টবেঙ্গল বিদেশিদের নাম সরকারিভাবে জানিয়ে দেবে। দেশীয় ফুটবলার বাছাইয়ে বড়সড় ভূমিকা নেবেন বিনো জর্জ। অন্য দল থেকে দেশীয় ফুটবলার বাছাইয়ের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি।
সবমিলিয়ে এবার ইস্টবেঙ্গল কার্লেস কুয়াদ্রাত-বিনো জর্জের হাত ধরে স্বমহিমায় ভারতীয় ফুটবলে প্রত্যাবর্তন করতে পারবে কিনা, সেটাই দেখার।