ভারত: ১০৯/১০
খেলা আড়াই ঘন্টাও গড়াল না। তার আগেই ইন্দোরের পিচে ভারতের ইনিংস ঘচাং ফুঁ হয়ে উড়ে গেল। লাঞ্চের পরেই ভারতীয় ইনিংস থেমে গেল মাত্র ১০৯ রানে। চলতি সিরিজে বারেবারেই অজি প্রচারমাধ্যম নিশানা করছে ভারতের পিচকে। তৃতীয় টেস্টে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ১০৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর সেই পিচ-কেলেঙ্কারি তত্ত্ব আরও জোরালো হল।
টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। মাত্র ষষ্ঠ ওভারেই স্পিনারকে আক্রমণে এনেছিলেন স্ট্যান্ড-ইন ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ। তারপরে ভারত ৪৫/৫ হয়ে গিয়েছিল। দলগতভাবে তিন অংকের রানে পৌঁছনোও দূরতম কল্পনা মনে হচ্ছিল।
ষষ্ঠ ওভারেই রোহিত শর্মা আউট হয়ে যান। ম্যাট কুহনেম্যান বোল্ড করে দেন হিটম্যানকে মাত্র ১২ রানে। কেএল রাহুলের বদলে ইন্দোরে ওপেন করতে নামা শুভমান গিল সাজঘরে ফেরেন অষ্টম ওভারে। এরপরে চেতেশ্বর পূজারা নবম ওভারে, রবীন্দ্র জাদেজা ১১তম এবং ১২তম ওভারে শ্রেয়স আইয়ার রানের খাতা না খুলেই আউট হন।
২৬তম ওভারে যখন লাঞ্চ হয়, তখন ভারত ৮৪/৭-এ ধুঁকছে। লাঞ্চের পর ভারতের বাকি ৩ উইকেট ফেলতে অজিদের লাগল মাত্র ৭.২ ওভার। কোহলি (২২), গিল (২১) বাদে ভারতের ইনিংসে কেউ ২০-র কোটাও পেরোননি। চলতি সিরিজে ডেবিউ করা ম্যাথু কুহনেম্যান মাত্র ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান খরচ করে ৫ উইকেট তুললেন। কেরিয়ারে যা প্ৰথম। অভিজ্ঞ নাথান লিয়নের শিকার ৩ ভারতীয় ব্যাটার।
আর ইন্দোরের এমন পিচ দেখে কমেন্ট্রি করার সময়েই মেজাজ হারালেন ম্যাথু হেডেন। "প্রথম ৬ ওভারেই স্পিনারকে বল করতে আনা হচ্ছে। এই কারণেই এরকম সারফেস তীব্র অপছন্দের আমার। ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই বল এত লো, এত টার্ন করা উচিত নয়। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতুক বা ইন্ডিয়া, এরকম পিচ টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয়।"
এমনটা জানিয়ে হেডেন আরও বলছেন, "অন্তত চার-পাঁচ দিন টেস্ট ম্যাচ চলা উচিত। যেভাবে এই টেস্ট শুরু হল, সমর্থকদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে বলছি এই ম্যাচ চারদিনও গড়াবে না।"