ঋষভ পন্থ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আপাতত ক্রিকেটের বাইরে। ঋদ্ধিমান সাহা জাতীয় দলের বৃত্তের বাইরে গত বছর থেকেই। এমন অবস্থায় জায়গা পাকা করার সুযোগ পেয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের কোনা ভরত। টেস্টে তাঁকেই দ্বিতীয় কিপার হিসাবে ভাবা হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। ঋষভ পন্থের সঙ্গে। তাঁর জন্য বাইরেও বসতে হচ্ছে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের সফল কিপার-ব্যাটসম্যান ঈশান কিষানকেও।
এমন অবস্থায় কেএস ভরত অন্তত জাতীয় দলে ভরসা জাগানোর মত পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ। অনেক আলোচনার পরে আহমেদাবাদ টেস্টের প্ৰথম এগারোয় জায়গা দেওয়া হয়েছিল ভরতকে। তবে তিনিই যে এভাবে ভারতকে বিপদে ফেলে দেবেন, ভাবতে পারেননি ক্যাপ্টেন রোহিত।
পাটা পিচে টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর প্ৰথম সেশনেই অজিদের চাপে ফেলার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ষষ্ঠ ওভারেই উমেশ যাদবের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলেছিলেন অজি ওপেনার ট্র্যাভিস হেড। পাড়ার ক্রিকেটেও এমন ক্যাচ মিস করা মহা-অপরাধ। সেটাই করলেন ভরত। সেই সময় মাত্র ৭ রানে ব্যাটিং করছিলেন হেড। তবে হেডের সহজ ক্যাচ মিস করে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন তরুণ উইকেটকিপার।
হেড অবশ্য নিজের ইনিংস বেশিদূর টানতে পারেননি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে অশ্বিন ফিরিয়ে দেন অজি ওপেনারকে ৩২ রানে। ট্র্যাভিস হেডের ক্যাচ শেষমেশ পাকড়াও করেন রবীন্দ্র জাদেজা। জীবন পেয়েও নিজের ব্যক্তিগত রান বেশি বাড়াতে না পারলেও প্ৰথম উইকেটে উসমান খোয়াজার সঙ্গে ৬২ রানের দারুন পার্টনারশিপ উপহার দিয়ে যান তিনি।
ট্র্যাভিস হেডকে অশ্বিন ফেরানোর কিছুক্ষণ পরেই মার্নাস লাবুশানেকে ফিরিয়ে ঝটকা দেন শামি। প্ৰথম সেশনেই পাটা পিচে জোড়া উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল অজিরা। তবে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়াকে যথেষ্ট ভালো পজিশনে পৌঁছে দিলেন উসমান খোয়াজা। শতরান করে (১০৪) তিনি ব্যাট করছেন এখনও। অস্ট্রেলিয়া প্ৰথম দিন শেষ করল ২৫৫/৪-এ। দ্বিতীয় সেশনে একটাও উইকেট তুলতে পারেনি ভারত। তৃতীয় সেশনে স্টিভ স্মিথ (৩৮) এবং পিটার হ্যান্ডসকম্ব (১৭)কে শামি, জাদেজা ফিরিয়ে দিলেও ক্যামেরন গ্রিন হাফসেঞ্চুরির মুখে (৪৯)।