/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/rohit-shastri.jpg)
IND vs AUS 4th Test: ইন্দোরে ভারতের বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রবি শাস্ত্রী তুলোধোনা করেছিলেন ভারতকে। বলে দেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ডুবল ভারত। সেই ঘটনার পর এবার আহমেদাবাদ টেস্টে খেলতে নামার ২৪ ঘন্টা আগেই পাল্টা আক্রমণ করে বসলেন রোহিত শর্মা।
সরাসরি প্রাক্তন কোচের দাবিকে নস্যাৎ করে বলে দিলেন, "এটা রাবিশ। রবি শাস্ত্রী নিজেও ড্রেসিংরুমে থেকেছেন। উনি ভালো করেই জানেন টেস্ট ম্যাচ চলার সময় আমাদের মনের মধ্যে কী অবস্থা হয়! ঘটনা হচ্ছে, অতি আগ্রাসী না হতে পারা। আত্মতুষ্টির প্রশ্ন নয় এটা।"
চলতি সিরিজে তিনবার টস হারা ক্যাপ্টেনরাই শেষ পর্যন্ত বিজয়ের তিলক পড়েছে। ইন্দোরে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফার্স্ট সেশনেই হচকচিয়ে গিয়েছিল ভারত। বলের টার্ন দেখে। রোহিত টস-ভাগ্যের সঙ্গে ম্যাচ জয়ের প্রসঙ্গে বলছেন, "ভারতে কোনও সিরিজে এটা প্ৰথমবার ঘটল। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত।"
আরও পড়ুন: বউ সানিয়ার জন্য ভারতে এলেন না শোয়েব! ডিভোর্সের ইঙ্গিতে দাউদাউ বিতর্কের আগুন
ইন্দোরে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়েন রোহিতরা। কালো-লাল মিশ্র মাটির উপরিভাগ আটকে রাখার জন্য হালকা ঘাসের আস্তরণ। এতেই বল স্কিড করে লাট্টুর মত টার্ন নিচ্ছিল। আর লাল মাটি মানেই বাউন্স সেই সঙ্গে টার্ন। পিচের এমন চরিত্র হতভম্ভ করে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। রোহিতের কথাতেই স্পষ্ট পিচের চরিত্র পড়তে না পারার জন্যই হার। রবি শাস্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, অতি-আত্মবিশ্বাস কোনওভাবেই কারণ নয়।
রোহিত শাস্ত্রীকে একহাত নিয়ে বলে দিয়েছেন, "সত্যি কথা বলতে আমরা দুটো ম্যাচ পরপর জেতার পরেই বাইরের অনেকে ভাবতে শুরু করে দিয়েছে আমরা আত্মতুষ্টিটে ভুগছি। এটা একদম ফালতু যুক্তি। কারণ দুটো ম্যাচ জিতলে যে কেউ চারটে জিততে চাইবে। এটা সহজ ব্যাপার। যারা এই অতিরিক্ত-আত্মবিশ্বাস মার্কা কথাবার্তা বলছেন, বিশেষ করে যাঁরা ড্রেসিংরুমের অংশ নন, তাঁরা বুঝতেই পারেন না, ড্রেসিংরুমে আমাদের কী বিষয়ে কথাবার্তা হয়।"
আরও পড়ুন: ভারতে হোলি খেলে বিপদে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট সুন্দরী! চুলের জন্য ঘুম উড়ে গেল রাতের
"দলের হারের জন্য যে শব্দ বরং আমার মাথায় আসছে তা হল নির্মম না হতে পারা। প্রত্যেক ক্রিকেটারই মানসিকভাবে নিষ্ঠুর হতে চায় মাঠে। প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দিতে চায় না ক্রিকেটাররা, বিশেষ করে বিদেশ সফরের সময়। আমরাও যখন বাইরের দেশে ট্যুরে গিয়েছি এই বিষয় দেখেছি। প্রতিপক্ষ কখনও ম্যাচে সাবলীলভাবে খেলতে দিতে চাইবে না। এরকম মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামি আমরাও।"
"সমস্ত ম্যাচেই আমরা সেরাটা দিতে প্রস্তুত থাকি। যদি বাইরের কারোর মনে হয় আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ রবি নিজেই ড্রেসিংরুমে কাটিয়েছে। ও ভালো করেই জানেন আমাদের মনের সিচ্যুয়েশন ঠিক কীরকম থাকে খেলার সময়।"
Read the full article in ENGLISH