কোহলিকে ক্রিজে ঘাঁটানো মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাহলে তার ফল ভুগতে হবে, এমনটাই বলছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কোহলিকে নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি দুটো উদাহরণ তুলে ধরেছেন।
এর মধ্যে প্রথমটা ২০১৪ সালের। ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়। "২০১৪ সালের সিরিজে যেবার ধোনি ২টো টেস্ট খেলার পর অবসর নিল, সেবার তৃতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরান হাকিয়েছিল কোহলি। আর একটা মাত্র টেস্ট বাকি ছিল। (আসল ঘটনা হলো ধোনি সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলার পর সরে দাঁড়ান। কোহলি তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন।) সেই টেস্টে মিচেল জনসন আর কোহলির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। সেই ক্লিপ আরো একবার দেখো। কোহলি কেমনভাবে আক্রমণাত্মক ভাবে জবাব দিয়েছিল।"
এর পরেই পাকিস্তানের প্রাক্তনী বলেছেন, "কয়েকজন ক্রিকেটারকে মাঠে মোটেই ঘাঁটানো উচিত নয়- জাভেদ ভাই, ভিভ রিচার্ডস, গাভাস্কার। বিরাট কোহলিও এমন একজন ক্রিকেটার।"
২০১৪ সালের সেই টেস্ট সিরিজে ধোনি নেতৃত্ব ছেড়ে অবসর নেওয়ার পরেই কোহলিকে ক্যাপ্টেনশিপের আর্মব্যান্ড পড়ানো হয়। প্রথম দুই টেস্টেই ভারত হেরেছিল। তৃতীয় টেস্ট ড্র হয়। ধোনি প্রথম টেস্ট চোটের কারণে খেলতে পারেননি। সেই টেস্টেও অধিনায়কত্ব পালন করেছিলেন কোহলি।
যাইহোক, রশিদ কোহলির আগ্রাসনের দ্বিতীয় যে দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন তা গতবছরের। "সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি টি টোয়েন্টি ম্যাচে একজন বাঁ হাতি বোলার কোহলিকে মাঠেই কিছু কথা বলেছিল। যদিও টি টোয়েন্টিতে কোহলি বেশি রান করেন না। সেই ম্যাচে কিন্তু সেই বোলারকে তুলোধোনা করে ছেড়েছিল ও। বিশ্বের এমন কিছু ক্রিকেটার রয়েছে যাদের মাঠে চ্যালেঞ্জ করতে নেই।"
আসল ঘটনা হলো ২০১৭ সালে জামাইকায় কোহলিকে আউট করে ডানহাতি পেসার কেশরিক উইলিয়ামসন কোহলিকে তাঁর ট্রেডমার্ক নোটবুক সেন্ড অফ জানান। তারই বদলা নিয়ে কোহলি দুবছর পর ছক্কা হাঁকিয়ে একই ভাবে নোটবুক সেলিব্রেশনে মাতেন।
৮৬টি টেস্ট, ২৪৮টি ওডিআই এবং ৮২টি টিটোয়েন্টি ম্যাচ খেলা কোহলি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তিন ধরনের ক্রিকেটে কোহলির রানসংখ্যা যথাক্রমে ৭২৪০, ১১৮৬৭ এবং ২৭৯৪।