আইএসএলের দু-বারের চ্যাম্পিয়ন। চেন্নাইয়ের জার্সিতে মাঝমাঠে ফুল ফুটিয়েছেন। যুবভারতীতেও খেলে গিয়েছেন। আপাতত রাফায়েল আগুস্তো নিজের অভিজ্ঞতার ঝুড়ি উপুড় করে এএফসি কাপে সবুজ মেরুন জার্সিধারীদের পর্যুদস্ত করতে মরিয়া। ভারত নয়, তাঁর ঠিকানা যে আপাতত ঢাকা আবাহনী।
মঙ্গলবার এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হচ্ছে হুয়ান ফেরান্দোর এটিকে মোহনবাগান। প্ৰথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার-কে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। আবাহনীর আবার খেলা ছিল মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে। তবে মালদ্বীপের ক্লাবটি না খেলায় ওয়াকওভার পেয়ে যায় ঢাকা আবাহনী।
আরও পড়ুন: চার আনা নিয়ে নববর্ষে ক্লাবে ঢুকতেন ধীরেন দে! বারপুজোর রেওয়াজে স্মৃতিমেদুর ময়দান
সেই ম্যাচের আগেই রাফায়েল আগুস্তো এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন, আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের বেশ কয়েকটি ম্যাচ দেখেছি আমি। খুবই শক্তিশালী দল। ম্যাচটা খুবই কঠিন হবে।" কড়া চ্যালেঞ্জের সুরে তাঁর এরপরে সংযোজন, "ফুটবল তো খেলা হয় মাঠে, তাই না? মাঠে অনেক কিছুই হতে পারে। ভুলে গেলে হবে না আমাদের দলটাও কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী।”
আইএসএলে খেলে যাওয়া রাফায়েলকে সামলানো আসল চ্যালেঞ্জ মেরিনার্সদের (আইএসএল)
আইএসএলে টানা ছয় বছর খেলেছেন চেন্নাইয়িনের জার্সিতে। তার মধ্যে দু-বারই চ্যাম্পিয়ন। ৭১টি আইএসএল ম্যাচ খেলা আগুস্তো টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম বর্ণময় তারকা। আইএসএলের কথা শুনলে এখনও নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন তিনি। আইএসএল মিডিয়া-কে তিনি বলেছেন, "দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছি আইএসএলে। সমস্ত সতীর্থদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সেই মুহূর্ত, অসাধারণ ছিল। কেরিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছি আইএসএলে।"
২০১৭/১৮ মরশুমে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফাইনালে গোলও পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সেই গোলের স্মৃতি আঁকড়ে রাফায়েল অবশ্য বলে দিচ্ছেন, "ওই গোলের জন্য সবাই আমাকে মনে রেখেছে। কোনও সন্দেহ নেই, ওই গোল কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গোল। হৃদয়ে বরাবর ওই ম্যাচ রয়ে যাবে। তবে বিশ্বাস করুন, অন্য অনেক ম্যাচেও ওই ফাইনালের থেকে ভালো খেলেছি।"
আরও পড়ুন: মোহনবাগান নামের আগে ATK, ক্লাবের আবেগে আঘাত! সহ-সভাপতি হয়েই সোচ্চার কুনাল
২০১৫-য় যেবার চেন্নাইয়িনের জার্সিতে প্ৰথমবার ভারত সেরা হন, সেবার এটিকে ম্যাচেও গোল করেছিলেন। এবার এটিকে মোহনবাগান, নতুন চেহারায় হাজির পুরনো প্রতিপক্ষ। সেই গোলের স্মৃতিও এখনও টাটকা আগুস্তোর। গড়গড় করে সাত বছর আগের গোলের স্মৃতিতে বলে যান, "ডিফেন্ডাররা ভুল পজিশনে ছিল। আমার জন্যই যেন বল অপেক্ষা করছিল। সামনে ছিল কেবল গোলকিপার।"
এবারও সেরকমই গোল করে সবুজ মেরুন সংসারে বিষণ্নতা নামিয়ে আনতে প্রস্তুত তিনি। যুবভারতীর গনগনে সমর্থকদের সামনে নিজেকে পদ্মাপাড়ের মেসিহা।হিসাবে হাজির করতে পারবেন? অপেক্ষা তো আর কয়েক ঘন্টার।