আগামিকাল সিডনিতে মহিলাদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ডের। এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেস-তারকা ব্রেট লি মনে করছেন, ফাইনালে যাওয়ার এই দ্বৈরথে ভারতই এগিয়ে।
হরমনপ্রীত কউরের টিমকে অকুন্ঠ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে লি বলেছেন, "আমি জানি, ভারত এর আগে কখনও ফাইনালে যায়নি। কিন্তু এবারের টিমটা আলাদা। ব্যাটে শাফালি ভার্মা আর বলে পুনম যাদবের মতো ম্যাচ-উইনার থাকায় টিমটার ভারসাম্য অনেক বেড়ে গেছে। এই ভারতকে হারানো ইংল্যান্ডের পক্ষেও কঠিন হবে।”
আরও পড়ুন: অফ ফর্মের বিরাটের পাশে ইনজামাম, কপিল বলছেন 'চোখের সমস্যা’
চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই এবার দুরন্ত ছন্দে আছে ভারতের মহিলা-ব্রিগেড। গ্ৰুপ লিগের প্রথম ম্যাচেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চমকে দেয় হরমনপ্রীতের বাহিনী। গ্ৰুপের বাকি তিনটে ম্যাচও জিতে অনায়াসে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। আগামিকাল সিডনিতে হেদার নাইটের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামতে চলেছে ভারত। এই ইংল্যান্ডের সঙ্গেই ২০১৮-য় গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই টক্কর হয়েছিল ভারতের। সে বার শেষ হাসি হেসেছিল ব্রিটিশরাই, হেরে গিয়েছিল ভারত। আগামিকালই অন্য সেমিফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতবারের হারের বদলা কি এবার নিতে পারবে 'উইমেন ইন ব্লু'? ব্রেট লি-র ধারণা, ইংল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী টিম হলেও সেমিফাইনালে ভারতই ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে। লি-র বক্তব্য, "অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ম্যাচে যেভাবে হারিয়েছে ভারত, তাতেই স্পষ্ট যে হরমনপ্রীতের এই টিমটা কতটা শক্তিশালী। ভারতের মহিলা টিমে কয়েকজন বড় তারকা বরাবরই ছিল, কিন্তু এই টিমটায় স্টারদের পাশাপাশি এমন এক ঝাঁক প্লেয়ার আছে যারা তারকাদের অফ ফর্মের দিনেও দলগত পারফরম্যান্সে ম্যাচ বের করে দিতে পারে।”
চলতি বিশ্বকাপে যাঁর মারকাটারি ব্যাটিং চমকে দিয়েছে সবাইকে, ভারতের সেই শাফালি ভার্মার (গ্ৰুপ লিগের চারটে ম্যাচে যাঁর রান ৪৭, ৪৬, ৩৯, ২৯) প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ লি। ষোলো বছরের শাফালি সম্পর্কে লি বলেছেন, "শাফালি ভারতের ব্যাটিংয়ে একটা ভয়ডরহীন এনার্জি এনে দিয়েছে। ও এখনও হাফ সেঞ্চুরি পায়নি, এবং সেটা কিন্তু বিপক্ষ বোলারদের কাছে চিন্তার। কারণ, এই মেয়েটি আরও বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখে। শাফালির ব্যাটিং দেখতে আমার দারুণ লাগে।"
কে জিতবে আগামিকালের ম্যাচে? ব্রেট লি-র ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাক, এই প্রার্থনাতেই থাকবে আসমুদ্রহিমাচল।