বিশ্বকাপ বাতিলের কথা ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া, মরিয়া চেষ্টায় আইসিসিও

করোনার মোকাবিলায় ৬ মাসের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তারপরেই বছরের শেষ দিকে বিশ্বকাপ টি২০ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

করোনার মোকাবিলায় ৬ মাসের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তারপরেই বছরের শেষ দিকে বিশ্বকাপ টি২০ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

টি২০ বিশ্বকাপ এখনই বাতিলের খাতায় যাচ্ছে না। আইসিসির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই কুড়ি কুড়ি বিশ্বকাপ আয়োজনের মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এমনটাই জানাচ্ছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কার্যনির্বাহী আধিকারিক কেভিন রবার্টস।

Advertisment

বিশ্বে করোনার সংক্রমণ বাড়ছেই। প্রতিদিনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবর আসছে ঘাতক ভাইরাসের জন্য। এমন অবস্থায় টি২০ বিশ্বকাপ স্থগিত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি আইসিসি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনটা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে।

গোটা বিশ্বের মতোই করোনার থাবা এসে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। ইতিমধ্যেই ৭০০০ জন সেদেশে করোনা আক্রান্ত। মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ জন। গোটা বিশ্বে দেড় লাখেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন মারণ রোগে। তারপরেই সীমান্ত বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

Advertisment

করোনার মোকাবিলায় ৬ মাসের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তারপরেই বছরের শেষ দিকে বিশ্বকাপ টি২০ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সীমান্ত বন্ধ করার অর্থ কোনো বিদেশি এই সময়সীমার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখতে পারবেন না। ৬ মাসের মধ্যেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কথা।

তবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী। বৃহস্পতিবার আইসিসির পক্ষ থেকে টেলি কনফারেন্স করা হয়েছিল সদস্য দেশগুলির সঙ্গে। সেখানেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ রবার্টস বলেন, "অস্ট্রেলিয়া সরকার, স্থানীয় আয়োজক সংস্থা এবং আইসিসির সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে। সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

পাশাপাশি তিনি জানান, "বিশ্বকাপ আয়োজনের সমস্ত সম্ভবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে সবাইকে নিরাপদে রেখে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপভোগ করা সম্ভব হয়। সঠিক সময়ে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

cricket ICC