বিশ্বফুটবলে সাড়া ফেলে দেওয়া আবির্ভাব তাঁর। ক্যামেরুন বংশোদ্ভূত জার্মান তারকা ফুটবলার ইউসুফা মোকোকো মাত্র ১৪ বছর বয়সে উয়েফা ইউথ লিগে অংশ নিয়েছেন। বুন্দেশলিগার ইতিহাসে কনিষ্ঠতম গোলস্কোরার হিসাবেও নজির গড়ে ফেলেছিলেন মোকোকো। মাত্র ১৪ বছর বয়সে গোল করে।
২০১৬ সালে বুন্দেশলিগা জায়ান্ট ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়েছিলেন মোকোকো। তারপরে দলের হয়ে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর পাঙ্গা নিতে সৌদির ক্লাবে সই করতে পারেন মেসি, বিরাট আপডেটে তোলপাড় বিশ্ব
১৮ বছরের মোকোকোকে পেতে আপাতত ঝাঁপিয়েছে ইউরোপের বড় বড় ক্লাব গুলি। যদিও মোকোকোর এজেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি মরশুমের চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডর্টমুন্ডেই খেলবেন মোকোকো।
কাতার বিশ্বকাপে হ্যান্সি ফ্লিকের প্রশিক্ষণাধীন জার্মানি জাতীয় দলেও ছিলেন মোকোকো। তবে এরমধ্যেই বড়সড় জালিয়াতি সামনে চলে এল। অস্ট্রিয়ান প্রচারমাধ্যম লাওলোয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোকোকোর বয়স কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। ১৮ নয়, তাঁর বয়স নাকি ২২ বছর।
আরও পড়ুন: বিতর্কের জন্যই ক্যাপ্টেন করা হবে না এমবাপেকে! বড়সড় বোমা ফাটালেন ফ্রান্সের তারকা
ক্যামেরুনের অনুর্দ্ধ-১৭ স্কোয়াড কিছুদিন আগেই বয়সের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। বেশ কয়েকজন ২১ বছরের তারকা ধরা পড়েছেন ক্যামেরুন স্কোয়াডে। বয়স যাচাইয়ের পর দেখা গিয়েছে একাধিক ফুটবলারের বয়স নির্দিষ্ট বয়সের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তারপরেই গোটা স্কোয়াড বদলাতে হয়েছে। মোকোকোকে ঘিরে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
মোকোকোর দত্তক-পিতা এক সাংবাদিককে মোকোকোর বয়সের নথি ইমেল করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে জার্মান তারকার বয়স মোটেই ১৮ নয়, বরং ২২।
এই প্ৰথমবার মোকোকোর বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠল না। এর আগে মোকোকোর বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডর্টমুন্ডের কোচেরাই। যদিও জার্মান এফএ সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সময় জার্মান ফুটবল সংস্থার তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বিভিন্ন পর্যায়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ডিএফবির। সংস্থার অনুরোধে ডর্টমুন্ডের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেছেন। তবে বয়স নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।"