শেষ একটা বছর কেরিয়ারে এক অদ্ভূত সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১৮ সালে তাঁকে প্রথমবার দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল। সেবছর দেশের জার্সিতে ২০টি ওয়ান-ডে ম্যাচ খেলে ২৭৫ রান করেছিলেন ধোনি। তাঁর গড় ছিল ২৫। একটি অর্ধ-শতরানও করতে পারেননি মাহি। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ৪২।
আর সেই ধোনিই ২০১৯-এ বদলে গেলেন। একেবারে পুরনো ফর্মে। চেনা মাহিকেই বেশ কয়েকবার দেখেছে বাইশ গজ। যে মানুষটার গতবছর পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে গড় ছিল ২৫। তার এবছরের এখনও পর্যন্ত গড় ৮১.৭৫। ৩২৭ রান এসেছে ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংসও খেলেছেন তিনি। আর সদ্যসমাপ্ত আইপিএল দেখেছে ভিন্টেজ ধোনিকে। সেই রণংদেহী মেজাজ। দু'টো ম্যাচে চোটের জন্য খেলতেও পারেননি। ডজন ইনিংস ব্যাট করে ৪১৬ রান করেছিলেন। গড় ছিল ৮৩.২০, আর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৪.৬২। ধোনি সময়ের সঙ্গে কিছুটা মন্থর হয়ে গিয়েছেন ঠিকই। তাঁর ঝাঁঝ কিন্তু কমে যায়নি। বিশ্বকাপে বিরাটের দলের অন্যতম তুরুপের তাস তিনি।
আরও পড়ুন: ICC Cricket World Cup 2019: ধোনির মস্তিষ্কই ভারতের তুরুপের তাস, জানালেন এশিয়ান ব্র্যাডম্য়ান
ধোনির ফর্ম আর অবসর নিয়ে যাঁরা চিন্তিত, এককথায় সেইসব সমালোচকদের মিডল স্টাম্পটি এবার ছিটকে দিলেন স্পিনের জাদুকর। অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি এবার ধোনির হয়ে ব্যাট ধরলেন। সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ন বলেছেন, "ভারতীয় দলের এক অসাধারণ সেবক ও। ভারতীয় ক্রিকেটকে সব কিছু দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করতে পারি না, কিছু মানুষ ওকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাঁরা ভাবছে ধোনির কী বিশ্বকাপে থাকা উচিত ছিল। ধোনি একমাত্র ব্যক্তি যে জানে তাঁর কখন অবসর নেওয়া উচিত। সেটা বিশ্বকাপের পরও হতে পারে আবার তার পাঁচ বছর পরেও হতে পারে। ও জানে সঠিক সময় কোনটা। ও যখন ইচ্ছা তখন অবসর নিতে পারে। ও এতটাই ভাল।"