১৯৯৩ সালের ২৭ নভেম্বর। এটা নিছকই ক্যালেন্ডারের কোনও দিন নয়, তিলোত্তমার ক্রিকেট রোম্যান্সের মহোৎসব। আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকার মুহূর্ত। এদিন হিরো কাপের ফাইনালে ভারত ১০২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল। ক্রিকেটের নন্দনকাননে সাক্ষী ছিলেন লক্ষাধিক মানুষ।
সাল ২০১৮। চলতি মাসেই হিরো কাপের ২৫ বছর পূর্তি। আর এই মাহেন্দ্রক্ষণটা স্মরণীয় করে রাখার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করতে চায় না সিএবি। ঘটনাচক্রে হিরো কাপের পোশাকি নাম ছিল সিএবি জুবিলি টুর্নামেন্ট। সেটা ছিল বঙ্গজ ক্রিকেট সংস্থার হীরক জয়ন্তী বর্ষ। আর হিরো হন্ডার প্রথম স্পনসর্ড ইভেন্ট ছিল হিরো কাপ। আগামী ৪ নভেম্বর ক্যারিবিয়ানরা আসছে কলকাতায়। উপলক্ষ্য ভারতের সঙ্গে টি-২০। ফলে রথ দেখা আর কলা বেচার কাজটা একসঙ্গেই করে নিয়ে চায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোম্পানি।
আরও পড়ুন: India vs West Indies Live Score: আজ ফের মুখোমুখি ভারত-উইন্ডিজ
হিরো কাপের ২৫ বছর উদযাপন হবে সিএবি-র বিশাল লনে। মহারাজের ডাকে আসছেন ১৯৯৩-এর হিরো কাপ জয়ী ক্যাপ্টেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩১১ রান করে সেবার প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা। হিরো কাপে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দুই কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা ও কার্ল হুপারও আসছেন সৌরভের ডাকে। অনুষ্ঠানটি হবে ম্যাচের ঠিক দু'দিন আগে। অর্থাৎ ২ নভেম্বর জগমোহন ডালমিয়া স্মারক বক্তৃতার সঙ্গেই ফিরে যাওয়া হবে স্মৃতিচারণায়। হিরো কাপের ফাইনাল বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অনিল কুম্বলের আগুনে পারফরম্যান্স। ছয় ওভারের এক বল বেশি করে তুলে নিয়েছিলেন উইন্ডিজের হাফ ডজন উইকেট। কিন্তু কুম্বলের পক্ষে আসা সম্ভব হচ্ছে না ব্যক্তিগত কারণবশত, যদিও অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
হিরো কাপের নক-আউট পর্যায়ের সব ম্যাচ হয়েছিল ইডেনে। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। এছাড়াও অংশ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ে। প্রথমে এটি ছয় দেশীয় টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তান টুর্নামেন্ট শুরুর চারদিন আগে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।