আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বারেবারেই রুপো কিংবা ব্রোঞ্জ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছিল। অবশেষে কাঙ্খিত সোনা জয়। পুসরেল্লা ভেঙ্কটসাই সিন্ধু-র সাফল্যের রংমশালে আপাতত গোটা দেশেই আলোকিত। ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। সিন্ধু-গর্জনের হ্য়াংওভার চলছেই। তবে সিন্ধুর সাফল্যে আপাতত স্বপ্নের ঘোরে রয়েছেন ব্যাডমিন্টন তারকার মা পিভি বিজয়া। সিন্ধু যখন বাসেলে ওকুহারাকে বধ করছেন একের পর এক স্ম্যাশে, তখন সারাক্ষণ টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন মা বিজয়া। ঘটনাচক্রে, তাঁর জন্মদিনও ছিল এদিন। নিজের জন্মদিনেই মেয়ের বিশ্বজয়! এমন আনন্দে আত্মহারা তিনি।
খেলার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩৮ মিনিট। ২১-৭, ২১-৭ ফলাফলে একপেশে লড়াইয়ে সিন্ধু জিততেই হায়দরাবাদের বাড়িতে শুরু হয়ে যায় মিষ্টি বিতরণ। আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটে শুভেচ্ছা বিনিময়ও হতে থাকে। জিতে ওঠার পরেই সিন্ধুর সঙ্গে ভিডিও চ্যাটে কথা হয় তাঁর মায়ের। সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক টিভি-র পোস্ট করা ভিডিওতে সিন্ধুর মা-কে বলতে শোনা যাচ্ছে, "তোমার সাফল্যে আমরা প্রত্যেকেই আনন্দিত। মিডিয়া থাকায় ম্যাচের আগে তোমার সঙ্গে কথাও হয়নি। পরিবর্তে স্রেফ হোয়্যাটসঅ্যাপ করেই ক্ষান্ত থেকেছিলাম। নিজের যত্ন নাও। স্ট্রেচ আউট করতে ভুলো না।"
মিডিয়াকে দেওয়া বিবৃতিতে এরপর সিন্ধুর মা জানান, "সোনা জয়ের জন্য বহুদিন অপেক্ষা করছিলাম আমরা। এর জন্য সিন্ধু কঠোর পরিশ্রম করেছে।" বছর দুয়েক আগে সিন্ধুর হাতছাড়া হয়েছিল সোনা জয়। তবে শেষ পর্যন্ত সোনা জিতেই নিজেকে প্রমাণ করল ভারতের সোনার মেয়ে। ম্যাচের পরে সিন্ধু সাংবাদিকদের জানান, "কোচ কিম, গোপী স্যার এবং আমার পুরো সাপোর্ট স্টাফকে ধন্যবাদ। এই জয় মাকেই উৎসর্গ করলাম। মায়ের আজকেই জন্মদিন।"
সিন্ধুর পাশাপাশি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ভারতের প্রণীথও। এই নিয়ে টানা ছ-বছর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ইভেন্টে ভারতের প্রতিযোগীরা পদক জেতার ট্র্যাডিশন জারি রাখল।
Read the full article in ENGLISH