পিয়ারলেস: ২ (ক্রোমা-২)
জর্জ টেলিগ্রাফ: ০
মোহনবাগান: ৩ (চামারো, শেখ ফৈয়াজ, ফ্রান মোরান্তে)
কালীঘাট: ০
আনসুমানা ক্রোমা। আরও একবার। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, পিয়ারলেস এবং একগুচ্ছ সমীকরণ। সেই সমীকরণকে হেলায় হারিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে কার্যত খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিলেন একজনই, ক্রোমা। যার জোড়া গোলে পিয়ারলেস কার্যত লিগ জয়ের দোড়গোড়ায়। তিন দলের খেলা ছিল রবিবার। একদিকে বারাসতে জর্জ টেলিগ্রাফ বনাম পিয়ারলেস। নিজেদের ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। দুই দলের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে কাস্টমস এবং মোহনবাগান।
দুপুর আড়াইটে থেকে শুরু তিন ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বানের জল ঢুকে ইস্টবেঙ্গলের মাঠ কার্যত নালা বানিয়ে দিয়েছিল। কর্ণার ফ্ল্য়াগের কাছে জল। মাঠের অবস্থাও তথৈবচ। প্রথমে আধঘণ্টা বিলম্ব করা হয়েছিল। এরপরে একাধিকবার দফায় দফায় ম্যাচ আধিকারিকদের নিয়ে চলল পরিদর্শন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরেও যখন খেলা শুরু করা গেল না, তখন রেফারি ম্যাচ এদিনের মতো স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হন।
ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ঝুলে থাকার সময়েই বারাসতে জোড়া গোল করে দলতে জিতিয়ে ফেললেন ক্রোমা। অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গলের সামনে লিগ জয়ের জন্য থাকছে কঠিন অঙ্ক। বারাসতে ক্রোমা, এডমন্ডদের বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তির দল নামিয়েছিলেন জর্জ কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিন বিদেশি পাতো, জাস্টিস মর্গ্যান এবং সানডে রেখে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন। তবে এতেও সুবিধা করতে পারেনি জর্জ। ম্যাচের ৩৫ মিনিটেই গোল করে পিয়ারলেসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোমা।
বিরতিতে ১-০ ফলাফল রেখে মাঠ ছাড়ে পিয়ারলেস। দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল করে যান কলকাতা ফুটবলের পরিচিত এই বিদেশি। ৫১ মিনিটে নরহরির পাস থেকে ক্রোমা হাফভলিতে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন। এই নিয়ে চলতি কলকাতা লিগে ১৩নম্বর গোল করে ফেললেন ক্রোমা। এরপরে জাস্টিস মর্গ্যানরা সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।
মোহনবাগানের সামনে আবার অল্প হলেও সুযোগ ছিল লিগ জেতার। সেক্ষেত্রে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল স্পষ্ট। ইস্টবেঙ্গল এবং পিয়ারলেস দু-দলকেই হারতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মোহনবাগানকে জিততে হত ২-০ গোলের ব্যবধানে। তবে মোহনবাগান এদিন কালীঘাট এমএস-এর বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতলেও লাভ হল না। কারণ পিয়ারলেস জিতে যাওয়ায় মোহনবাগানের এই জয় অর্থহীন।
তাৎপর্যপূর্ণ এই ম্যাচে মোহনবাগান প্রথমার্ধে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিল। বিরতির আগে একটাও গোল করতে পারেনি সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তবে বিরতির পরে স্বমূর্তিতে ফেরে কিবু ভিকুনার দল। সালভা চামারো ৫৫মিনিটে প্রথমে দুরন্ত হেডে গোল করেন। এরপরে ৭০ ও ৭৮ মিনিটে বাগানেপ হয়ে গোল করে যান শেখ ফৈয়াজ এবং মোরান্তে।
মোদ্দা কথা, সানডে-তে সাসপেন্স রয়ে গেল।
পিয়ারলেস: অরূপ, অভিনব বাগ, মনোতোষ, ভার্নে, ফুলচাঁদ, এডমন্ড, পঙ্কজ, অনিল, দীপেন্দু, জীতেন (নরহরি), ক্রোমা
বনাম
জর্জ টেলিগ্রাফ: ভাস্কর, নবি, মুসলিম, চিন্তা, মোহন, ডেনসন, মিকদাদ, খোকন, জাস্টিস মর্গ্যান, পাতো, সানডে
মোহনবাগান: শিল্টন পাল, চুলোভা, বিক্রমজিৎ, ফ্রান মোরান্তে, গুরজিন্দর কুমার, শেখ সাহিল, ফ্রান গঞ্জালেজ, ব্রিটো পিএম, সুহের ভিপি, নংদম্বা নওরেম, সালভা চামারো