গরহাজির ইস্টবেঙ্গল, কাস্টমস ওয়াকওভার পাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন পিয়ারলেস

৬১ বছর পরে কলকাতা লিগ দেখল নতুন চ্যাম্পিয়নকে। শেষবার ১৯৫৮ সালে তিন প্রধানকে পযুর্দস্থ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল। তারপরে দীর্ঘ সময় পরে ইস্ট-মোহনের দাদাগিরির মধ্যেই চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পেল পিয়ারলেস।

৬১ বছর পরে কলকাতা লিগ দেখল নতুন চ্যাম্পিয়নকে। শেষবার ১৯৫৮ সালে তিন প্রধানকে পযুর্দস্থ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল। তারপরে দীর্ঘ সময় পরে ইস্ট-মোহনের দাদাগিরির মধ্যেই চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পেল পিয়ারলেস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CUSTOMS TEAM

কল্যাণীতে কাস্টমস দল (ফেসবুক)

কল্যাণীতে রিপিট ম্যাচে হাজির ছিল কাস্টমস। নিরাপত্তার বন্দোবস্থও ছিল আইএফএ। কেবল দেখা মিলল না ইস্টবেঙ্গলেরই। ঘড়ির কাঁটা মেনে ৩২ মিনিট অপেক্ষা করার পরে রেফারি, ম্যাচ কমিশনার ওয়াকওভার দিয়ে দেয় কাস্টমসকে। ফলে সরকারিভাবে কলকাতা লিগে ঐতিহাসিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হলে গেল পিয়ারলেস। ৬১ বছর পরে কলকাতা লিগ দেখল নতুন চ্যাম্পিয়নকে। শেষবার ১৯৫৮ সালে তিন প্রধানকে পযুর্দস্থ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল। তারপরে দীর্ঘ সময় পরে ইস্ট-মোহনের দাদাগিরির মধ্যেই চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পেল পিয়ারলেস।

Advertisment

বুধবার ইস্টবেঙ্গল কল্যাণীতে হাজির না থাকলেও কাস্টমসের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ পুরো দল হাজির ছিল। ম্যাচের অনেক আগে নির্ধারিত সময়েই উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ছেলেরা। হালকা গা-ও ঘামান তাঁরা। ইস্টবেঙ্গলের বিষয়ে যদিও ম্য়াচ আধিকারিকদের কাছে কোনও তথ্যই ছিল না। ম্যাচ সময়ের ঠিক আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন রেফারিরা।

আরও পড়ুন CFL 2019: বাঙালি ফ্যাক্টরেই কলকাতা লিগে সফল পিয়ারলেস

গত সপ্তাহে ২৯ সেপ্টেম্বরই লিগের খেতাবি নির্ণায়ক খেলা ছিল তিন মাঠে। বারাসত স্টেডিয়ামে পিয়ারলেস ক্রোমার জোড়া গোলের সৌজন্যে হারায় জর্জ টেলিগ্রাফকে। মোহনবাগান ঘরের মাঠে কালীঘাট এমএসকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করা নিশ্চিত করে। তবে বান ও বৃষ্টির জলে ভেসে যায় ইস্টবেঙ্গল মাঠের খেলা। সমীকরণ অনুযায়ী, লিগ খেতাব জিততে হলে কাস্টমসকে ৭ গোলের ব্যবধানে হারাতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।

Advertisment

আরও পড়ুন CFL 2019: জল জমে ম্যাচ স্থগিত, লিগ জিততে ইস্টবেঙ্গলের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

শেষ ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পরেই ইস্টবেঙ্গল ও আইএফএ-র মধ্যে চিঠি চালাচালি শুরু হয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে বঙ্গ ফুটবল সংস্থাকে দোষারোপ করে বলা হয়েছিল চ্যাম্পিয়নশিপের নির্ধারক ম্যাচ একই সময় ফেলা উচিত ছিল। ইস্টবেঙ্গলের খেলা ভেস্তে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পিয়ারলেসের খেলা স্থগিত রাখা উচিত ছিল। এদিকে, ময়দান বন্ধ থাকছে চলতি মাসে। এর মধ্যেই পুজো। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে আবার পুজোর পরে ম্যাচ আয়োজনের অনুরোধ করা হয়েছিল। যদিও কাস্টমস ততদিন দল ধরে রাখতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।

সবমিলিয়ে ম্যাচ আয়োজন করতে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল আইএফএ। শেষ পর্যন্ত অনেকভাবনা চিন্তার পরে কল্যাণীতেই খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার। এই ম্যাচে যে ইস্টবেঙ্গল হাজির থাকবে না, তার ইঙ্গিতও অবশ্য মিলেছিল আগে। কোচ আলেহান্দ্রো ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছেন স্পেনে। ফুটবলারদেরও ছুটি দেওয়া হয়েছিল। নিয়মরক্ষার ম্যাচে তাই কল্যাণীতে গিয়ে ওয়াকওভার পেল কাস্টমস। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন পিয়ারলেস।

Calcutta Football League