এরিকসন কান্ড এবার ময়দানি ফুটবলে। মাঠেই লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু হল তরুণ ফুটবলারের। বেলপুকুর বোলতা ফুটবল এসোসিয়েশনের তরফ থেকে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল।
৭০ মিনিটের এই খেলাতেই কৃষ্ণনগর সেন্ট্রাল ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন দেবজ্যোতি। সেই ম্যাচই যে জীবনের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে, কে ভাবতে পেরেছিল!
কলকাতা লিগে খেলেছিলেন রেলওয়ে এফসির হয়ে। ইস্টবেঙ্গলেও খেলার কথা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত লাল হলুদ জার্সি পড়ার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল দেবজ্যোতির। কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত স্থানীয় এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসাবে যুক্ত থাকা কৃশানু দে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলছিলেন, "ঠিক যেন এরিকসেনের মৃত্যুর ঘটনা চোখের সামনে। স্বরূপগঞ্জ সেবক সমিতির বিরুদ্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল কৃষ্ণনগর সেন্ট্রাল ক্লাব। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ওঁকে নামায় কোচ। আর খেলা শেষ হওয়ার ঠিক মিনিট পাঁচেক আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।"
সকালেই একপ্রস্থ অন্য টুর্নামেন্টে খেলে এসেছিলেন। তারপরে বিকালে নেমেছিলেন অন্য টুর্নামেন্টে। খেপ খেলার স্বপ্নই কাল হয়ে উঠল শেষমেশ। কৃশানুবাবু বলছিলেন, "স্থানীয় টুর্নামেন্ট হওয়ায় এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ছিল না। তবে চার চাকার গাড়ি মাঠের সঙ্গে ছিল। ওঁকে দ্রুত ৩ কিমি দূরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর আগেই সব শেষ।"
করোনা অতিমারী থাবা বসিয়েছে ফুটবলারদের রুটি রুজিতে। এবার মরশুম শুরু হতেই খেপ খেলার ঢল নেমেছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, ধকল শরীর নিতে না পারলেও অসহায় হয়ে তা চালিয়ে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। আর অকালেই শেষমেশ ঝরে পড়ছে দেবজ্যোতির মত উঠতি প্রতিভা। এর শেষ কোথায়, প্রশ্ন তুলছে ময়দানি ফুটবল মহল।