ইস্টবেঙ্গল: ০
খিদিরপুর: ০
৫২ বছর আগে ইস্টবেঙ্গল ঠিক এই দিনেই ইতিহাস গড়েছিল। ইরানের পাস ক্লাবকে হারিয়ে ১৯৭০-এর ২৫ সেপ্টেম্বর আইএফএ শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-হলুদ ফুটবলাররা। এই ঐতিহাসিক দিনেই জোড়া ম্যাচ খেলল ইস্টবেঙ্গল। সকালে স্টিফেন কনস্টানটাইনের মূল দল ভারতের অনুর্দ্ধ-২০ দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল। দুপুরে আবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগে নামল রিজার্ভ দল।
সকালে ক্লেইটন সিলভা, সুমিত পাসসির জোড়া গোলে জাতীয় যুব দলকে ইস্টবেঙ্গল হারালেও কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশন-এর সুপার সিক্সে আটকে গেল বিনো জর্জের প্রশিক্ষণাধীন ইস্টবেঙ্গল। বিদেশি বোঝাই খিদিরপুরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র'য়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
সম্পূর্ণ বিদেশি বিহীন দেশীয় ফুটবলারদের নিয়ে গড়া ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ টিমে প্ৰথম ম্যাচেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাত্র দু-দিন আগে ইস্টবেঙ্গলও সই করা তিন কেরালার ফুটবলার- অতুল উন্নিকৃষ্ণন, আদিল অমল এবং জেসিন টিকেকে। তবে এই তিন তারকা নয়, লাল-হলুদ জার্সিতে প্ৰথম ম্যাচে নজর কেড়ে গেলেন নবি হুসেইন খান।
আরও পড়ুন: সবুজ-মেরুনের ত্রাস হয়ে ওঠা ক্লাবেই বাগানের চ্যাম্পিয়ন বিদেশি! পুজোর আগেই বড় আপডেট
ইস্টবেঙ্গলে সই করার পর থেকেই সন্তোষের গোল্ডেন বুটের মালিক জেসিন টিকেকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে উঠেছিল। তবে প্ৰথম ম্যাচে মোটেই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না কেরালার তারকা। দুরন্ত ফুটওয়ার্ক থাকলেও মাথা ঠান্ডা রেখে পাস বাড়ানো এখনও রপ্ত করতে হবে জেসিনকে। ম্যাচের গতি অনুযায়ী খেলার দক্ষতাও অর্জন করতে হবে তাঁকে।
প্ৰথম থেকেই ইস্টবেঙ্গল খিদিরপুরের অর্ধে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। জেসিন এবং মহিতোষ শুরুর ১২ মিনিটের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলকও এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ক্লোজ রেঞ্জ থেকে। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। বিরতির সময় ম্যাচের স্কোর ছিল গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে পড়তে পারত। জোড়া সুযোগ পেয়েছিল খিদিরপুর। প্ৰথমে কোলিবালির শট ব্লক করে দেয় লাল-হলুদের রক্ষণ। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এরপরে কোচ বিনো জর্জ লিজো কুরুসাপ্পান, বিষ্ণু টিএম-এর মত স্কোয়াডের বাকি দুই কেরালা তারকাকে নামিয়ে দেন। তবে ম্যাচে গোলের খাতা খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন: আজীবন মোহনবাগানিই থাকব! ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে ‘বিষাক্ত’ লাল-হলুদ সমর্থকদের ধুয়ে দিলেন সপ্তক
কলকাতা লিগের ইতিহাসে শেষ ৩৬ বছরেই ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল এবং খিদিরপুর মোট ৬ বার মুখোমুখি হয়েছিল। প্রতিবারই জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই প্রথমবার খিদিরপুরের বিরুদ্ধে জিততে পারল না লাল হলুদ শিবির।
ইস্টবেঙ্গল প্ৰথম ম্যাচে জিততে না পারলেও মহামেডান পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে সুপার সিক্সের শুরুর ম্যাচে ৩-০ গোলে ওড়াল এরিয়ানকে। সাদা-কালো জার্সিতে একটি করে গোল করে যান মার্কাস জোসেফ, ফজলু রহমান এবং ওসুমানে এন'দিয়ায়ে।
ইস্টবেঙ্গল: সূর্যশ জয়সোয়াল (গোলকিপার), অতুল উন্নিকৃষ্ণণ, নবি হুসেইন খান, আদিল অমল, নিরঞ্জন মন্ডল, দীপ সাহা, মহিতোষ রায়, সঞ্জীব ঘোষ, বিবেক সিং, শুভম ভৌমিক, জেসিন টিকে