দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার উইম্বলন্ডন আগেই বাতিল হয়েছিল। এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের বাকি ম্যাচগুলো। ইউরোপে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন অবস্থায় ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের বাকি ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া আর অন্য কোনো অপশন ছিল না।
ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থার পক্ষে আরো জানানো হয়েছে, জুন মাসে জাতীয় দলের সমস্ত ম্যাচ ইউরো কাপের যোগ্যতানির্ণয় সহ সমস্ত কিছুই আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইউরো কাপ এই বছরেই আয়োজিত হওয়ার কথা। তবে তা ২০২১ এ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আগেই।
আসন্ন মে মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের ফাইনাল হওয়ার কথা। পাশাপাশি মহিলাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেরও খেলার সূচি পূর্ব নির্ধারিত। সেগুলো স্থগিত করে দেওয়া হলো।
ইউরোপে সামাজিক বিধিনিষেধ, লক ডাউন মিটলেই ঘরোয়া ফুটবল লিগের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করে ফেলার কথা ভাবছে সংশ্লিষ্ট দেশীয় ফুটবল সংস্থাগুলি। গত সপ্তাহে উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার সেফেরিন জানিয়ে দিয়েছিলেন, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে খেলা শুরু না করা গেলে মরশুম পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হতে পারে।
বুধবার উয়েফা নিজেদের ৫৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ ও আগামী দিনে খেলার রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক কর্তা বলেছেন, কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই মহামারীর প্রকোপ কতদিন থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। যত দেরি হবে ততই ঘরোয়া লিগ সম্পূর্ণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
গ্রীষ্মে অতিরিক্ত দেরি হলে ইউরোপিয়ান ক্লাব কম্পিটিশনে উয়েফা সেরা চার দল নিয়ে মিনি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে, এমন সম্ভবনাও রয়েছে। পাশাপাশি উয়েফা ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র তৈরি করার জন্য আরো সময় বরাদ্দ করেছে ক্লাবগুলোকে।