চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বড় জয় বার্সেলোনার। ন্যু-ক্যাম্পে মেসিরা শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিল এএস রোমার বিরুদ্ধে। তারাই বার্সেলোনার জয়টা সহজ করে দিল।বার্সেলোনা ম্যাচটা জিতল ৪-১ গোলে। এর মধ্যে তারা রোমার থেকে পেল জোড়া আত্মঘাতী গোলের উপহার। রোমার 'ভিলেন' হয়ে গেলেন ড্যানিয়েল ডে রোসি ও কোস্তাস মানোলাস। এই দুজনেই আত্মঘাতী গোল করেছেন। রোমার জালে বল জড়ালেন লুইস সুয়ারেজ ও জেরার্ড পিকে। স্কোরলাইন বলছে কোনও অঘটন না-ঘটলে বার্সেলোনা সেমিফাইনাল খেলবে। আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে রোমার মাঠে খেলবে দুই দল।
ম্যাচের পর রোমার কোচ ইউসেবিও দি ফ্রান্সেসকো বলছেন, '' আমরা ব্যাক্তিগত ভাবে ভুল করেই বার্সার জন্য রাস্তাটা সোজা করে দিয়েছি। বার্সার মতো দলের বিরুদ্ধে এরকম করা যায় না।" অন্যদিকে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েও বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে মনে করছেন না, তাঁরা সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন। তিনি বলছেন, ''আমরা একটা কঠিন ম্যাচ জিততে পেরে খুশি হয়েছি। রোমা ভাল টিম, সেটা ওরা মাঠে প্রমাণ করেছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই দূর।'' বার্সা এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে টানা ২৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকল। ২০১৩-র সেপ্টেম্বর থেকে তাদের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল। এদিন ম্যাচের ৩৮ মিনিটেই বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিল দে রোসির আত্মঘাতী গোল। প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মধ্যেই ফের মানোলাসের আত্মঘাতী গোলে বার্সা ২-০ এগিয়ে যায়। এরপর ৫৯ মিনিটে বার্সার হয়ে তিন নম্বর গোলটা করেন পিকে। ম্যাচের ৮০ মিনিটে রোমার হয়ে প্রথম গোলটি করেন এডিন ডেকো। রোমার কফিনে ৮৭ মিনিটে শেষ কফিনটা পুঁতে দেয় সুয়ারেজ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপর ম্যাচে লিভারপুল ৩-০ হারিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে। লিভারপুলের হয়ে গোলগুলি করেছেন মহম্মদ সালাহ, অ্যালেক্স ওক্সলেড-চেম্বারলিন ও সাদিও মানে।এই ম্যাচের তিনটি গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। ১২ মিনিটে সালাহ লিভারপুলকে এগিয়ে দেওয়ার আট মিনিট পর চেম্বারলিন ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৩১ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি আসে মানের পা থেকে।