জুভেন্টাস: ৩ (রোনাল্ডো-২, ম্যাকেনজি)
বার্সেলোনা: ০
মেসির বার্সেলোনাকে দাঁড়াতেই দিল না রোনাল্ডোর জুভেন্টাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে জুভে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল বার্সাকে। আর ইতালিয়ান ক্লাবের হয়ে জোড়া গোল করে ফেলেন রোনাল্ডো।
একদশকের বেশি সময় ধরে ব্যালন ডি'ওরের মঞ্চ দেখেছে দুই মহাতারকার রেষারেষি। স্প্যানিশ ফুটবলেই দুই সুপারস্টার এর আগে মুখোমুখি হতেন। তবে ২০১৮-য় রিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর আর সাক্ষাৎ হয়নি দুজনের। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বৈরথেই দেখা গেল মহা যুদ্ধে। যেখানে পর্তুগিজ তারকা বাজিমাত করলেন পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করে।
আরো পড়ুন: কলকাতায় কোচিং জীবনের অভিষেক, বিশ্বকাপে মেসিদের ফাইনালে তোলা সাবেয়া প্রয়াত
ঘরের মাঠে এর আগে বার্সার কাছে জুভে ০-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল।সেই সময় কোভিড আক্রান্ত হয়ে রোনাল্ডো খেলতে পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত রোনাল্ডোর উপস্থিতিতেই ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনাকে হারাল আন্দ্রে পিরলোর দল। ২০১৩ সালে শেষ বার বার্সার ঘরের মাঠে জেতে বায়ার্ন মিউনিখ। তারপর এবার।
গ্রুপে দুই দলই ১৫ পয়েন্ট সংগ্ৰহ করেছে। পরের পর্বে ওঠাও নিশ্চিত। তবে হেড টু হেড গোলের বিচারে এগিয়ে জুভেন্টাস।
আগের ম্যাচে ক্যাডিজের কাছে হারের পর বার্সা বস রোনাল্ড কোম্যান প্রথম একাদশে চারটে পরিবর্তন করেন। তা সত্ত্বেও বার্সা বিশ্রীভাবে শুরু করে। ১৩ মিনিটেই রোনালদোকে ফাউল করে বসেন রোনাল্ড আরাউজো। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সিআরসেভেন। ঠিক সাত মিনিট পর যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাকেনজি দুরন্ত ভলিতে স্কোর ২-০ করেন।
এরপর গোলশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে মেসি ও বার্সা। যদিও গোলের ব্যবধান কমাতে পারেনি কাতালান ক্লাব। বিরতির পর হ্যান্ডবল করে বসেন ক্লেমেন্ট লেঙলেট। তারপরেই প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করে যান রোনাল্ডো। মেসির মতোই গোটা ম্যাচে কার্যত খুঁজে পাওয়া যায়নি ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার এতোনিও গ্রিজম্যান।
যাইহোক, শেষদিকে লিওনার্দো বনুচ্চির গোল অফসাইডের জন্য বাতিল না হলে আরো বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছিল মেসিদের জন্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন