ক্রিকেট থেকে সাময়িক নির্বাসিত হতে পারেন শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন দীনেশ চণ্ডীমল, কোচ চণ্ডীকা হাতুরুসিংহ ও ম্যানেজার আসানকা গুরুসিনহা। আইসিসি-র আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন। এর ফলে দু থেকে চারটি টেস্ট অথবা চার থেকে আটটি আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচে তাঁদের নির্বাসনে পাঠাতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
চণ্ডীমল-হাতুরুসিংহ-গুরুসিনহার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের মুখ্য কার্যনির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন লেভেল থ্রি ধারায় অভিযোগ এনেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি টেস্টের দ্বিতীয় ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকালে শ্রীলঙ্কা মাঠে নামতে অস্বীকার করে। যার ফলে সেন্ট লুসিয়ায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু’ঘণ্টা বাদে খেলা শুরু হয়। এই অপরাধেই শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্যাপ্টেন, কোচ ও ম্যানেজারের ওপর।
আরও পড়ুন: কোচিং ছাড়তে চান লেহম্যান, কাঁদলেন স্মিথ, নিজেকে মিথ্যাবাদী বললেন ব্যানক্রফট
শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে যে, অন-ফিল্ড আম্পায়ার ইয়ান গুল্ড ও আলিম দার তাঁদের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর দশ মিনিট আগে বলের অবস্থা পরিবর্তনের অভিযোগ এনেছেন। এর ফলে তৃতীয় দিন খেলা শুরুর আগেই বল বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে মাঠে নামতে অস্বীকার করেছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। বলের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য আইসিসি-র ম্যাচ রেফারি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাঁচ রানের পেনাল্টি দিয়েছেন। এটাই মেনে নিতে পারেননি চণ্ডীমলরা। এমনকী ড্রেসিংরুমে শ্রীনাথের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন ও কোচ তর্কাতর্কি জুড়ে দেন।
এখানেই শেষ নয়, শ্রীনাথ চণ্ডীমলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লঙ্কার অধিনায়ক সালিভা বা বাইরের কোনও বস্তু বলে লাগিয়ে বল বিকৃত করার চেষ্টা করেছেন। চণ্ডীমলের স্বপক্ষের যুক্তিতে একেবারেই সন্তুষ্ট হননি শ্রীনাথ। দু’টি সাসপেনশন পয়েন্টও কেটে নেওয়া হয়েছে তাঁর। এখন মনে করা হচ্ছে আইসিসি চণ্ডীমলকে এক ম্যাচ নির্বাসনে পাঠানোর পাশাপাশি ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি-ও কেটে নিতে পারে। চণ্ডীমল আইসিসি-র কাছে শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন। চণ্ডীমল ছাড় না পেলে আগামী শনিবার থেকে শুরু হওয়া বেসব্রিজ টেস্ট খেলতে পারবেন না। শুনানির জন্য আইসিসি মাইকেল বেলোফ কিউসিকে জুডিশিয়াল কমিশনার পদে নিয়োগ করেছে।