করোনা সংক্রমণ কালে দাবা ভালোভাবেই নিজেদের খেলা ধরে রেখেছে। অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশ্বনাথন আনন্দ। করোনা লকডাউন পর্বে পরিবার সমেত জার্মানিতে আটকে পড়েছেন কিংবদন্তি দাবাড়ু।
ফেব্রুয়ারিতে বুন্দেশলিগা চেজ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে জার্মানি গিয়েছিলেন। তারপর লকডাউন চালু হয়ে যাওয়ায় আর ফিরতে পারেননি দেশে। সেখান থেকেই পিটিআইকে তিনি জানালেন, "জার্মানি বেশ ভালোভাবে বিষয়টা সামলাচ্ছে। এখানে করোনার মৃদু প্রভাব পড়েছে। মৃত্যুর হার ও অন্য দেশের তুলনায় কম। ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে ছোট একটা শহরে রয়েছি।" সঙ্গে সংযোজন, "সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেশ কয়েকবার হাটতে বেরিয়েছিলাম শপিংয়ের জন্য। এখানে আমার কিছু বন্ধুবান্ধব থাকেন। এটা আমার কাছে অনেক স্বস্তির বিষয়।"
করোনার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, "অর্থনৈতিক ভাবে এর কী প্ৰভাব পড়বে তা আমরা এখনো জানি না। দাবার কথাই ধরা যাক। অধিকাংশ খেলাই অনলাইনে হওয়ায় এই রূপান্তর পর্ব সামলে নিয়েছে দাবা জগৎ। ইন্টারনেটে দাবা খেলা বেশ মজার। যদিও বিশ্বের অধিকাংশ টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশ খারাপ বিষয়।"
লকডাউন পর্বে তিনি কী করছেন, তাও জানিয়েছেন বিখ্যাত দাবাড়ু। "দাবা নিয়ে বেশ কিছু পড়াশুনা করছি। যেগুলো আগে সময়ের অভাবে করতে পারিনি। ইন্টারনেট ঘেঁটে তথ্য জোগাড় করার পর্যাপ্ত সময় এখন আমার কাছে। শুধু এটাই নয়। পুরোনো বেশ কিছু বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ পেলাম এই অবসরে।"
করোনার সময়েই দাবার ক্যান্ডিডেটস ইভেন্টে ধারাভাষ্য করার সুযোগ পেয়েছিলেন। "যখন জানা গেল লকডাউনের ফলে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ। সেই সময়ে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ক্যান্ডিডেটস ইভেন্টে কমেন্ট্রি করার সুযোগ আসে। একজন সমর্থকের দৃষ্টিতে খেলা উপভোগ করছিলাম। যদিও মাঝপথে টুর্নামেন্ট বাতিল করা হয়।"
চেন্নাইতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য অনলাইন দাবায় অংশ নেন আনন্দ।