Advertisment

'ফিট হতে ইঞ্জেকশন নেয় ভারতীয় তারকারা', গোপন ক্যামেরায় ডোপিং-বোমা চেতন শর্মার

গোপন ক্যামেরায় ভূমিকম্প ঘটে গেল ভারতীয় ক্রিকেটের

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

ভারতীয় ক্রিকেটে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। জি নিউজের স্টিং অপারেশনে তিনি স্বীকার করে নিলেন ফিট হওয়ার জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ইঞ্জেকশন নিয়ে থাকে। যা সরাসরি নীতিবিরুদ্ধ।

Advertisment

জি নিউজ-এর গোপন ক্যামেরায় চেতন শর্মাকে যা যা বলতে শোনা গেল-
"ক্রিকেটাররা ফিট না হলেও খেলার জন্য ইনজেকশন নিয়ে থাকে। এমনকি ৮০ শতাংশ ম্যাচ ফিটনেস নিয়েও মাঠে নেমে পড়তে চায় ওঁরা। ইঞ্জেকশন নিয়েই ওঁরা খেলতে শুরু করে দেয়। হয়ত ওঁরা ৮৫ শতাংশ ফিট। ওঁরা তারপরেও বলতে থাকে, 'স্যার আমাদের খেলতে দিন।' কিন্তু মেডিক্যাল টিম ওঁদের আটকে দেয়। এখানেই সমস্যা। ওঁরা কখনই খেলতে অস্বীকার করে না। বরং সবসময় খেলতে মুখিয়ে থাকে।"

"বুমরা তো ঝুঁকতেই পারে না। তাহলে ওঁর করার কী আছে? একটা দুটো বড়সড় ইনজুরির ঘটনা ঘটেই থাকে। নাহলে, ৮০ শতাংশ ফিটনেস নিয়েই ওঁরা এতটাই দুষ্টু যে কর্ণারে গিয়ে ইনজেকশন নিয়ে বলে, 'স্যার আমরা ফিট হয়ে গিয়েছি।"

"ওগুলো মোটেই পেনকিলার নয়। ইনজেকশন। এমনকি অনেক সময় আমরা জানতেও পারিনা ওঁরা ইনজেকশন নিয়ে বসে আছে। পেনকিলারের জন্য প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন হয়। এমনকি এটাও ডোপিংয়ের নিয়ম বিরোধী হতে পারে। ইনজেকশনের জন্য ওঁরা ভালোভাবেই জানে কোনটা নিলে ডোপিংয়ের কাণ্ড ঘটবে না।"

প্রশ্ন করা হয়, ক্রিকেটাররা নিজেরাই ইঞ্জেকশন নিয়ে থাকে? চেতনের জবাব, "বিদেশে খেলতে গেলে ওঁরা ব্যক্তিগত শ্যেফ নিয়ে যায়। আর একজন চিকিৎসক নিয়ে যেতে পারবে না? হাজার হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। স্রেফ একটা ফোন কলেই ওঁরা বাড়ি চলে আসবে।"

ইঞ্জেকশন নেওয়া ক্রিকেটারদের বিষয়ে কোনও তথ্যই থাকে না নির্বাচকদের কাছে। চেতন বলছেন, "আমাদের পক্ষে কীভাবে জানা সম্ভব? একজন ক্রিকেটার মাঠে সারাদিন খেলল। সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত। টিম ম্যানেজমেন্টও ওখানে থাকে। তারপর টিম বাসে করে হোটেলে পৌঁছে যে যাঁর নিজের রুমে চলে যায়। ওঁদের ওপর সারাক্ষণ নজরদারি করার জন্য কেউ নেই। ওঁরা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে - জানতেই পারি না।"

"আমারও ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। আমিও বাইরে বেরোই। হাঁটতে পছন্দ করি। ডিনার করতে যাই। প্রত্যেকের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। কারা নিয়ম ভাঙছে, সেটা জানতে পারি না।"

"৯৯.৯ শতাংশ ক্রিকেটার প্রথমে এনসিএ-র কাছে রিপোর্ট করে। তবে বাকি .৫ শতাংশ এমন ক্রিকেটার রয়েছে যাঁরা ভাবে ওঁরা যা করছে আমরা বুঝতে পারব না। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এটা আমাদের কাছে পৌঁছয়ই না। আমাদের পক্ষে কতটা জানা সম্ভব? দেশে ২৫০০ এর বেশি ক্রিকেটার রয়েছে।"

BCCI Indian Cricket Team
Advertisment