ঘরের মাঠে জীবনের শেষ ওয়ান-ডে ম্যাচটাও স্মরণীয় করে রাখলেন ক্রিস গেইল। শনিবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইন্ডিজ সাত উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ান-ডে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে উইন্ডিজ সিরিজ ২-২ ড্র করেছে।
ক্যারিবিয়ান দৈত্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, বিশ্বকাপের পরেই ওয়ান-ডে ক্রিকেটকে গুডবাই বলবেন তিনি। গেইল যদি অবসরের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না-করেন তাহলে এটাই হয়ে গেল তাঁর ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: ৪৬টি ছয় ও ৮০৭ রান, গেইল ঝড়ে বাইশ গজ দেখল মাইলস্টোনের ম্য়াচ
ওশেন থমাসের পাঁচ উইকেটের সৌজন্যে উইন্ডিজ মাত্র ২৮.১ ওভারে ১১৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২.১ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়। গোটা সিরিজেই গেইল বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করেছেন। এদিন ব্যতিক্রম হল না। ওপেন করতে নেমে ২৭ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে পাঁচটি চার ও ন'টি ছয় এসেছে। ২৮৫.১৯-এর স্ট্রাইক রেট বজায় রেখেছিলেন এই ইনিংসে।
এই সিরিজে সেরার পুরস্কারও উঠেছে গেইলের হাতেই। আর কেই বা নিতেন এই সম্মান! গেইল ১০৬ এর গড়ে এই সিরিজে করেছেন ৪২৪ রান। ৩৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গেই একাধিক রেকর্ডে লেখালেন নিজের নাম।
১) এই সিরিজে গেইল মোট চার ইনিংস মিলিয়ে ৩৯টি ছয় মেরেছেন। এর আগে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার নজির ছিল রোহিত শর্মার। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রোহিত ছ'টি ইনিংস মিলিয়ে ২৩টি ছয় মেরেছিলেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে গেইল নিজে ছয় ইনিংস মিলিয়ে ২৬টি ছয় মেরেছিলেন।
২) পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি বয়সি ক্রিকেটার হিসেবে ইমরান তাহিরের পর ক্রিস গেইল সিরিজ সেরার পুরস্কার পেলেন। দু'জনেরই বয়স ৩৯ বছর ১৬২ দিন।
৩) শতকরার বিচারে ওয়ান-ডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি চার মারার নজির রয়েছে আন্দ্রে ফ্লেচারের (৯৬.১৫%)। এরপরেই রইলেন গেইল (৭৭-এর মধ্যে ৭৪)। স্ট্রাইক রেটের বিচারে গেইল থাকবেন সর্বকালের সেরাদের তালিকায় চারে। ২০-র বেশি বল খেলে ২৮৫ তাঁর স্ট্রাইক রেট। গেইলের আগে রয়েছেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ৪৪ বলে ১৪৯ করার সময় এবিডি-র স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৩৮।
৪) এই সিরিজে ব্রিটিশ স্পিনার মঈন আলিকে ১১টি ছয় মেরেছেন গেইল। কোনও সিরিজে এর আগে একজন বোলার এত ছয় হজম করেননি। এই সিরিজেই ক্রিস ওকসকে গেইল ন'টি ছয় মেরেছেন গেইল। সেটিও একটা রেকর্ড। এর আগে থিসারা পেরেরাকে আটটি ছয় মেরেছিলেন জিমি নিশাম।