জার্সি বদলে গিয়েছে, কিন্তু তিনি বদলাননি। আজও ব্যাট হাতে বাইশ গজের বিশ্ব শাসন করতে পারেন ক্রিস গেইল। সাধ করে তাঁকে ‘ইউনিভার্স বস’ বলা হয় না। আইপিএল ইলেভেনের প্রথম দুটি ম্যাচে বেঞ্চে বসার পর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জার্সিতে তিন নম্বর ম্যাচে ফিরলেন গেইল। রবিবাসরীয় মোহালি দেখল গেইল ঝড়। চেন্নাই সুপার কিংসের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে আইপিএল-এর ২৩ তম হাফ-সেঞ্চুরি করলেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য।
মোহালিতে টস জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্য়াট করতে পাঠান রবিচন্দ্র অশ্বিনের পাঞ্জাবকে। ইনিংস ওপেন করতে নামেন লোকেশ রাহুল ও গেইল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ব্যাট করার সুযোগ পান গেইল কাছে। হরভজন সিংয়ের প্রথম বলেই কভারের ওপর দিয়ে চার মেরে বুঝিয়ে দিলেন যে, আজ তিনি থামবেন না। সিএসকে-র বোলারদের জন্য তাঁকে থামানোর কাজটা রীতিমতো কষ্টসাধ্য করে দেওয়ার ইঙ্গিত ছিল শুরু থেকেই।
ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গেই গেইল ক্রমশ স্বমহিমায় আত্মপ্রকাশ করতে থাকেন। চার-ছয় ছাড়া কথা বলছিলেন না তিনি। মোহালির দর্শকদের নিখাদ বিনোদন দিলেন ব্যাটে। এমনকি পাঞ্জাবের মালকিন প্রীতি জিন্টাও চেয়ার ছেড়ে উঠে শিশুর মতো লাফাচ্ছিলেন গেইলের খেলা দেখে। ম্যাচের ১২ ওভারে গেইলের শো শেষ হয় শেন ওয়াটসনের হাতে। ৩৩ বলে ৬৬ করে আউট হলেন গেইল। চারটি ছয় ও সাতটি চারেই নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন টি-২০ ক্রিকেটের বেতাজ বাদশা। গেইলের ব্যাটে ভর করেই পাঞ্জাব প্রথম ইনিংসে ১৯৭ রান তুলতে সমর্থ হয়েছিল। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি। ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সঙ্গে কেক কেটে সেলিব্রেট করলেন গেইল।