CK Nayudu biography: ক্রিকেটকে সাধারণত ব্যাটসম্যানদের খেলা বলা হয়, আর ছক্কা হল এক বলে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করার সবচেয়ে সহজ, কিন্তু একইসঙ্গে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং উপায়। এমনই এক ঐতিহাসিক ছক্কার ঘটনা আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে, যখন ভারতের এক প্রাক্তন অধিনায়কের ছক্কা স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে নদী পার হয়ে গিয়েছিল।
ঘটনাটি ১৯৩২ সালের, যখন ভারতীয় দল ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল। তখনও ভারত স্বাধীন হয়নি, কিন্তু তবুও ব্রিটিশ শাসনের অধীনেও ভারতের একটি স্বতন্ত্র ক্রিকেট দল ছিল। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন কুখ্যাত ব্যাটসম্যান কর্নেল সি. কে. নাইডু। সেই সফরে তিনি মোট ৩২টি ছক্কা মেরেছিলেন, কিন্তু তাঁর একটি ছক্কা চিরস্মরণীয় হয়ে রইল।
এজবাস্টন স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ারউইকশায়ারের ম্যাচ চলছিল। ম্যাচের তৃতীয় দিনে ভারতের অবস্থা ছিল করুণ – মাত্র ৯২ রানে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় অধিনায়ক নাইডু মাঠে নামলেন এবং এক দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন। সেই ইনিংসে তিনি একটি ছক্কা মারেন যা স্টেডিয়ামের গণ্ডি ছাড়িয়ে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ‘রি’ নদী পর্যন্ত পার করে দেয়।
আরও পড়ুন কেউ বউকে মেরে, কেউ খুন করে, গ্রেফতার হন এই ৫ ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার
তিনি স্কোয়ার লেগ এলাকা দিয়ে বলটিকে আকাশে তুলে মারেন। সেই শট এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তা স্টেডিয়াম পেরিয়ে রি নদীর ওপারে গিয়ে পড়ে। যদি আজ সেই শট মারা হত, তাহলে বলা যেত যে নাইডু এক কাউন্টি থেকে আরেক কাউন্টিতে ছক্কা মেরেছেন। কারণ, সে সময় রি নদী ওয়ারউইকশায়ার এবং ওরচেস্টারশায়ার – এই দুই কাউন্টির স্বাভাবিক সীমা হিসেবে বিবেচিত হত।
এই ঘটনাটি আজও ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন IPL-এর মাঝেই বিশেষ মানুুষকে আংটি উপহার রোহিতের, স্ত্রী ঋতিকা নয়, তাহলে কে সেই ভাগ্যবান?
সি কে নাইডুর ক্রিকেট কেরিয়ার
ভারতীয় টেস্ট দলে অধিনায়কত্ব করেন ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচে। টেস্ট ক্যারিয়ারে মোট ৭টি ম্যাচ খেলেন, ১৯৩২ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০৭ ম্যাচে ১১,৮২৫ রান, শতাধিক হাফ সেঞ্চুরি ও ২৬টি সেঞ্চুরি করেন। একই সঙ্গে ছিলেন যোগ্য অলরাউন্ডার, ৪১১টি উইকেটও নিয়েছিলেন। ১৯২৬ সালে লর্ডস-এ MCC-এর বিরুদ্ধে একটি বিশাল ছক্কার জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়।