আইপিএলে পরিচিত মুখ। তিনটে পৃথক পৃথক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএলেও অংশ নিয়েছেন। সেই সিএম গৌতম এবং কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে তাঁর সতীর্থ আবরার কাজিকে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য গ্রেফতার করা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বুকিদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন তাঁরা।
গত দুই মরশুম ধরেই কেপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পরে তদন্ত চালাচ্ছিল বেঙ্গালুরুর ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেই তদন্তেই বেলারি টাস্কার্সের অধিনায়ক এবং প্রাক্তন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সিএম গৌতম এবং আবরার কাজির নাম ওঠে আসে। বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত কমিশনার সন্দীপ পাতিল সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "কেপিএলে গড়াপেটার জন্য দু-জন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন গড়াপেটার অভিযোগে ধৃত কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক
ঘটনাচক্রে, ঘরোয়া ক্রিকেটে গৌতম খেলেন গোয়ার হয়ে। অন্যদিকে, আবরার কাজি আবার মণিপুরের নথিভুক্ত ক্রিকেটার। দুই ক্রিকেটারেরই সংশ্লিষ্ট রাজ্য দলের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার কথা। তার আগেই ধাক্কা।
আরও পড়ুন গড়াপেটার অভিযোগ থেকে ছাড় পেল তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুই ক্রিকেটারই কেপিএল ২০১৯-এর ফাইনালে গড়াপেটায় যুক্ত ছিলেন। খেলা হয়েছিল বেলারি টাস্কার্স এবং হুবলি টাইগার্সের মধ্যে। দুই ক্রিকেটারই ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মন্থর গতির ব্যাটিং করেছিলেন। সেই ম্যাচে হুবলি টাইগার্স ৮ রানের ব্যবধানে জিতে যায়। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য ২০ লক্ষ টাকা করে পেয়েছিল দুই ক্রিকেটার। তাছাড়া বেঙ্গালুরু দলের বিরুদ্ধে অন্য একটি ম্যাচেও গড়াপেটা করেছিল ওরা।"
গৌতম ও কাজি দুইজনেই আইপিএল সহ ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন। ৩৩ বছরের গৌতম দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন।
এর আগে কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বেলাগামি প্যান্থার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক আলি আশফাক থারাকে। অগাস্টে সমাপ্ত হওয়া কেপিএলে গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তারপরেই তদন্তে নামে কর্ণাটক পুলিশ। সেই তদন্তের পরেই ধৃত ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক। একটি বেসরকারি ট্র্যাভেল এজেন্সি চালান আলি আশফাক। ২০১৭ সালে বেলাগাভি প্যান্থার্স দলের মালিকানা কেনেন তিনি। তবে তাকে সন্দেহভাজনদের তালিকায় রেখে কিছুদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আলির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, একাধিক দলের কোচ, প্লেয়ারদের।
ভারতীয় বোর্ড সভাপতি পদে সদ্য আসীন হয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েই ঘোষণা করেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি সর্বতোভাবে চেষ্টা করে চলবেন। তারপরেই এই গ্রেফতারি। বিসিসিআই কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই আপাতত দেখার।
Read the full article in ENGLISH