প্রয়াত কলিন ব্লান্ড। গত ১৪ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। মৃত্যুকালে ব্লান্ডের বয়স হয়েছিল ৮০। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ক্রিকেটবিশ্বে কলিন একজন অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
মিলটন হাই স্কুলে পড়ার সময়ই রোডেশিয়ার হয়ে ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেন ব্লান্ড। সেখানে ১৯৫৬-৬৮ পর্যন্ত ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। এরপর ইস্টার্ন প্রভিন্স ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট ক্রিকেট টিমের হয়ে খেলেন। এখান থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট টিমে ঢোকার রাস্তাটা পেয়ে যান। ১৯৬১-তে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে অভিষেক করেন ব্লান্ড। মাত্র ২১টি টেস্ট ম্যাচই খেলেছিলেন তিনি। ১৬৬৯ রান করেছিলেন ৪৯.০৮-এর গড়ে। তিনটি শতরানও করেছিলেন তিনি। ১৯৬৪-৬৫-তে জোহানেসবার্গে ইংল্যন্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ব্লান্ড। এটাই তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর।
ব্যাটিং কিন্তু ব্লান্ডকে কিংবদন্তিতে পরিণত করেনি। করেছিল ফিল্ডিং। ওয়ান-ডে ক্রিকেট আর্বিভাবের আগে পর্যন্ত ব্লান্ডই ছিলেন শ্রেষ্ঠ ফিল্ডার। তাঁর ফিল্ডিংয়ে একাধিক ম্যাচের ভাগ্য ঘুরে গিয়েছিল। ব্লান্ডের ফিল্ডিং নিয়ে তাঁর সতীর্থ আলি বাখার বলেছিলেন, “ আমাদের কাছে ফিল্ডিং মানে ছিল ১৫ মিনিটের ক্যাচিং আর থ্রোয়িং। কিন্তু কলিনকে দেখতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্র্যাকটিস করতে। বলের পিছনে ধাওয়া করত, কখনও স্টাম্পে বল ছুড়ে প্র্যাকটিস করত। ওকে দেখে মনে হত অন্য গ্রহ থেকে এসেছে।”
১৯৬৬-তে ব্লান্ড উইসডেনের বিচারে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হন। চোটের জন্য তার পরের বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। কিন্তু ১৯৭৩-৭৪ পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। সেখানে ১৩১টি ম্যাচে ৭২৪৯ রান করেন ৩৭.৯৫-এর গড়ে। ৪৩টি উইকেটও নেন ব্লান্ড।