আর পাঁচ দিন পরেই শুরু কমনওয়েলথ গেমস। অথচ শুরুর আগে হোঁচট! টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে এন্ট্রি লিস্টে নাম নেই দেশের জোড়া অলিম্পিক পদক জয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমারের। এবার ৭৪ কেজি বিভাগে পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার দিল্লির এই বাসিন্দা। এবছর কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিততে পারলে হ্যাটট্রিক হবে সুশীলের। ২০১০-এ দিল্লিতে ও ২০১৪-তে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে ব্যাক-টু-ব্যাক সোনা পেয়েছেন তিনি।
সুশীলের নাম না-থাকায় রীতিমত ধোঁয়াশায় দ্য রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউএফআই) ও ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ)। সুশীল এই মুহূর্তে জর্জিয়াতে কমনওয়েলথের প্রস্তুতি সারছেন। এন্ট্রি লিস্টে নিজের নাম দেখতে না-পেয়ে তিনিও রীতিমত চমকে গেছেন। ডব্লিউএফআই-এর কর্তাদের একাধিকবার ফোনও করেছেন তিনি।
আইওএ-র সভাপতি নরিন্দর বাত্রা জানিয়েছেন, তাঁরা সুশীলের কমনওয়েলথ অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমি অফিসিয়ালদের বলেছি কোথায় ভুল হয়েছে সেটা জানাতে, যদিও আমাদের তরফ থেকে কোনও ভুল হয়নি। ’’ ফেডারেশনের সহ-সচিব বিনোদ তোমার বলছেন, “ মনে হচ্ছে এটা কোনও টেকনিক্যাল ভুল। আমরা আইওএ ও টুর্নামেন্ট আয়োজকদের বিষয়টা জানিয়েছি, আশা করি শুক্রবার আমরা আসল কারণটা জানতে পারব।’’ ফেডারেশনের সঙ্গে সুশীল ও তাঁর বেশ কয়েকজন সতীর্থর সম্পর্ক শেষ কয়েক মাসে একটু তিক্ত হয়েছে। সুশীলই দেশের একমাত্র কুস্তিগীর যাঁর নাম তালিকায় নেই।
২০১৪-র গ্লাসগো কমনওয়েলথের পর ফের কোনও বড় টুর্নামেন্টে নামছেন সুশীল। চোট-আঘাতের জন্যই প্রায় একটা বছর তিনি ম্যাটেই নামতে পারেননি। এরপর ২০১৬ অলিম্পিকে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ফেডারেশনের সঙ্গে কিছু সমস্যা হওয়ায় তাঁর প্রত্যাবর্তন পিছিয়ে গিয়েছিল। গতবছর ইন্দোরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি অবশেষে কামব্যাক করেন। কিন্তু সেখানেতাঁর বিপক্ষের অ্যাথলিটরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ না-জানানোয় ওয়াকওভার পেয়ে যান সুশীল। গত ডিসেম্বরে কমনওয়েলথের সিলেকশন ট্রায়াল জেতার পরেই বিতর্কে জড়ান সুশীল। সুশীলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রবীণ রানাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সুশীলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন প্রবীণ।
সুশীল ছাডা দেশের বাকি কুস্তিগীররা সোনপাতে জাতীয় ক্যাম্পে রয়েছেন। আগামী ১ এপ্রিল সুশীল দিল্লিতে ফিরবেন। গোল্ড কোস্টেও তিনি যাবেন আলাদাই। অন্য কুস্তিগীরদের দুদিন পর তাঁর উডান ধরার কথা।