বোর্ডের প্রশাসকমণ্ডলী বদলে গিয়েছে। তবে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে এখনও রেহাই নেই দ্রাবিড়কে। ফের একবার বোর্ডের দফতরে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগের জন্য হাজিরা দিতে হবে দ্রাবিড়কে। বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন পুনরায় সশরীরে হাজিরা হয়ে স্বার্থ সংঘাত ইস্যুতে দ্রাবিড়কে ডেকে পাঠালেন।
৪৬ বছরের তারকা ক্রিকেটার এর আগে সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে নিজের অভিযোগের বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন বোর্ডের হেড কোয়ার্টার্সে। পিটিআইকে দেওয়া বিবৃতিতে এক বোর্ড কর্তা জানিয়েছেন, "বুধবার রাতেই জৈন দ্রাবিড়কে চিঠি লিখে হাজিরা দিতে বলেছেন।"
রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে উঠেছিল কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতেই দ্রাবিড়কে প্রথমে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বোর্ডের এথিক্স অফিসার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডি কে জৈন। সঞ্জীব গুপ্তার অভিযোগ ছিল, রাহুল একাধারে এনসিএ-র ডিরেক্টর এবং চেন্নাই সুপার কিংস-এর মালিক ইন্ডিয়া সিমেন্টস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে কী করে দুটি পদে থাকতে পারেন দ্রাবিড়, তার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন সঞ্জীব গুপ্তা।
বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি কোনওভাবেই দুটি পদে থাকতে পারেন না একই সঙ্গে। দ্রাবিড় এনসিএ-র ডিরেক্টর হওয়ার পাশাপাশি ইন্ডিয়া সিমেন্টস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্টও। যে ইন্ডিয়া সিমেন্টস-এর মালিকানাধীন দল চেন্নাই সুপার কিংস খেলে আইপিএলে। তার আগে দ্রাবিড় ইন্ডিয়া-এ এবং অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ ছিলেন।
এর আগে দ্রাবিড় আত্মপক্ষ সমর্থনে বোর্ডকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া সিমেন্টসের পদ থেকে তিনি লিভ নিয়েছেন। অর্থাৎ ছুটিতে রয়েছেন। ইন্ডিয়া সিমেন্টস-এর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে তাঁর কোনওভাবেই সংস্রব নেই।
এর আগে দ্রাবিড়কে স্বার্থ সংঘাতের কারণে বোর্ডের পত্রাঘাতে বিরক্ত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হরভজনের মতো তারকারা। সৌরভ তো সরাসরিই টুইটারে লিখে দিয়েছিলেন, “নতুন একটা ফ্যাশন এসেছে। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট। খবরে থাকার সেরা উপায় এটাই। ভগবানই পারে ভারতীয় ক্রিকেটকে বাঁচাতে। দ্রাবিড়ও নাকি বিসিসিআই-এর এথিকস অফিসারের থেকে স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে নোটিস পেয়েছে!”
হরভজন আবার সরাসরি নিজের বিরক্তি প্রকাশ করে টুইটারে জানিয়েছিলেন, “জানি না এটা কোন দিকে যাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য দ্রাবিড়ের থেকে ভাল কাউকে পাওয়া যাবে না। দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে নোটিস ধরানো মানে তাঁকে অপমান করা। ক্রিকেটের ভালর জন্য়ই তাদের সার্ভিস প্রয়োজন। সত্যি, ভগবানই পারে ভারতীয় ক্রিকেটকে বাঁচাতে।”
সৌরভ নিজে এখন বোর্ড সভাপতি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বার্থ-সংঘাত ইস্যুর সমাধান করবেন তিনি শীঘ্রই। এখন দেখার, বোর্ড সভাপতি সৌরভ কী পদক্ষেপ নেন।
Read the full article in ENGLISH