ব্রাজিল: ১ (এডের)
ইকুয়েডর: ১ (এঞ্জেল মেনা)
দুরন্ত ইকুয়েডর দল। ব্রাজিলের মত শক্তিশালী দলকে ১-১ গোলে কোপায় আটকে দিয়ে গ্রুপ-বি থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। শেষ ১০ ম্যাচেই জয় পেয়েছে সেলেকাওরা। জয়ের সেই ধারাই বজায় রাখার জন্য ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় কোচ তিতে নেইমারকে বিশ্রাম দিয়েও প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন। নেইমার না থাকলেও বল পজেশন থেকে গোলের সুযোগ তৈরি সবেতেই এগিয়ে ছিল ব্রাজিল।
৩৭ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বলে কোনাকুনি হেড নিয়েছিলেন এডের। সেই হেড বাঁচাতে পারেননি ইকুয়েডরের গোলরক্ষক হার্নান গালিন্দেজ। ১-০ এগিয়ে যায় হলুদ জার্সির দল।
আরো পড়ুন: ইউরোয় বিদায় রোনাল্ডোর! বেলজিয়ামের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ মহাতারকার
গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার ভয় এসময় জড়িয়ে ধরে ইকুয়েডরকে। সেই আশঙ্কায় মরিয়া হয়ে লড়াই চালাতে থাকে লাতিন আমেরিকার দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় ইকুয়েডর। ৫৩ মিনিটেই ইকুয়েডর সমতাসূচক গোল করে যায়।
কর্ণার কিক থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ারও করে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের এন্নার ভ্যালেন্সিয়া। তবে সেই ক্লিয়ারেন্স ধরেই এঞ্জেল মেনা ব্রাজিল গোলকিপার এলিসনকে পেরিয়ে গোল করে যান।
ম্যাচের শেষে ব্রাজিল ডিফেন্ডার মার্কুইনহোস বলেন, "প্রথমার্ধে আমরা নিজেদের স্টাইল অনুযায়ী প্রাধান্য রেখে খেলেছি। বিরতির পর খেলার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি আমরা। দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় প্রথমার্ধে অনেক ভালো খেয়েছি আমরা। এবার টুর্নামেন্টের সবথেকে কঠিন সময়- নকআউট পর্ব। নিজেদের সেরা খেলাটা এবার বের করে আনতে হবে সকলকে।"
চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে থেকেই গ্রুপ পর্ব শেষ করল ব্রাজিল। রানার্স আপ পেরুর থেকে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে তিতের দল। তৃতীয় স্থানে ফিনিশ করল কলম্বিয়া, ৪ পয়েন্ট নিয়ে। ছিটকে গেল ভেনেজুয়েলা এবং বলিভিয়া।
গ্রুপ-এ তে এখনো এখনও রাউন্ডের ম্যাচ বাকি রয়েছে। সোমবারই উরুগুয়ে মুখোমুখি হচ্ছে প্যারাগুয়ের। বলিভিয়া খেলবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। শেষ আটের দল ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে চিলি অথবা উরুগুয়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন