এর আগে দু-বার প্যারাগুয়ের কাছে হেরেই শেষ আট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। তা-ও আবার টাইব্রেকারে! তবে তৃতীয়বার সেই ঘটনা আর ঘটতে দিল না ব্রাজিল। টাইব্রেকারেই প্যারাগুয়েকে হারিয়ে ব্রাজিল মধুর প্রতিশোধ নিল। সেই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে কোপার সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল তিতে বাহিনী।
২০১১ ও ২০১৫-র কোপার প্রত্যাবর্তনের আতঙ্ক অবশ্য এদিন সারাদিনই তাড়া করল সেলেকাও ফুটবলারদের। ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলা শেষ হল গোলশূন্যভাবে। এরপরেও ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে ৪-৩ গোলে বাজিমাত ব্রাজিলের। পেনাল্টি শ্যুট আউটে প্যারাগুয়ের প্রথম শটই আটকে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্যারাগুয়ে শেষ শটেও বল জালে জড়াতে পারেনি। তার আগে ব্রাজিলের হয়ে পরপর গোল করে গিয়েছিলেন উইলিয়ান, মার্কুইনহোস এবং ফিলিপে কুটিনহো। তবে চতুর্থ শটে রবার্তো ফিরমিনহো মিস করায় চাপে পড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে তারপর গ্যাব্রিয়েল জেসাস গোল করতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস সাম্বা শিবিরে।
এদিন যতই জয় আসুক, কান ঘেঁষে এই জয়ে অবশ্য ব্রাজিল শিবিরে বেশ আতঙ্ক। শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণের রাশ নিজেদের হাতে নিলেও ব্রাজিল ছন্দ হারিয়ে ফেলে। বারেবারেই খেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছিলেন কুটিনহো, ফিরমিনহোরা। প্রথমার্ধে সেরকমভাবে কোনও গোলের সুযোগও তৈরি করতে পারেননি সাম্বা ব্রিগেড। বরং ২৯ মিনিটে পিছিয়ে পড়তে পারত তাঁরা। ডার্লিস গঞ্জালেসের শট অ্যালিসন না বাঁচিয়ে দিলে, ব্রাজিল-বিদায়ের প্রেক্ষাপট তৈরিই ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোলের সময়ে আবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই ভিএরআর প্রযুক্তি। ৫৪ মিনিটে ফিরমিনহোকে বক্সের সামনে ফাউল করলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় ব্রাজিলের পক্ষে। লাল কার্ড দেখানো হয় প্যারাগুয়ের ফাবিয়ান বালবুয়েনাকে। তবে ভিএরআর প্রযুক্তিতে রিভিউয়ে দেখার পরে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলা হয়। পেনাল্টির পরিবর্তে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। সেখান থেকে দানি আলভেজ গোল করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়ে যথেষ্ট প্রাধান্য নিয়ে খেলেও গোল করতে পারেনি ব্রাজিল। গ্যাব্রিয়েল জেসাস সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। তারপরে এভার্টনের শট আবার লক্ষ্য়ভ্রষ্ট হয়।