আর্জেন্টিনা: ১ (৩) (লাউতারো মার্টিনেজ)
কলম্বিয়া: ১ (২) (লুইজ দিয়াজ)
পায়ে রক্ত ঝরছে মেসির। আর্জেন্টিনাও নিয়মিত সময়ের খেলার শেষে ১-১। এমন রক্তচাপ বাড়ানো ম্যাচেই আর্জেন্টিনা টাইব্রেকার শ্যুট আউটে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠল। ব্রাজিলের বিপক্ষে।
টাইব্রেকার মানেই আর্জেন্টিনা চোকার্স। সেই ধারণাকে পিছনে ফেলেই আর্জেন্টিনা যেন ৩-২ গোলে জিতে খেতাবি লড়াইয়ে নামবে ব্রাজিলের বিপক্ষে। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি, পারেডেস এবং লাউতারো টাইব্রেকারে গোল করেন। মিস করেন রড্রিগো ডি পল। অন্যদিকে, কলম্বিয়ার হয়ে কুয়াদ্রাদো, বোরহা গোল করলেও মিস করে বসেন স্যাঞ্চেজ, মিনা।
আর আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার নেপথ্যে সেই মেসি। প্রথমার্ধেই দুর্ধর্ষ পাস এসিস্টে গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন এলএমটেন। লো সেলসোর কাছ থেকে দুর্ধর্ষ থ্রু বল পেয়ে মেসি একাই কলম্বিয়ার রক্ষণকে ভেঙে তছনছ করে দেন। তিন কলম্বিয়ানকে কাটিয়ে যে পাস বাড়ান ফুটবল ঈশ্বর। সেখান থেকে গোল না করাই অপরাধ। তা করেনওনি লাউতারো। মাত্র ৭ মিনিটেই লাউতারোর ফিনিশিংয়ে মেসিরা এগিয়ে গেলেও তারপরেই হৃদকম্প নিয়ে হাজির হল কলম্বিয়ানরা। গোটা টুর্নামেন্টেড ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগতে থাকা কলম্বিয়া আর্জেন্টিনাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে প্রথমার্ধেই।
আর্জেন্টিনাও যেন লিড বাঁচানোর তাগিদে অতিরিক্ত খোলসে ঢুকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি দুরন্ত গোল করে কলম্বিয়ার হয়ে সমতা ফিরিয়ে যান লুইজ দিয়াজ। আগেই বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি। তবে ৬০ মিনিটের মাথায় ক্লিনিক্যাল ফিনিশ করে যান তিনি। বাঁ পোস্টের দুরূহ কোন থেকে ঠান্ডা মাথায় এমি মার্টিনেজকে পরাস্ত করে সমতাসূচক গোল করে যান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপুটে ফুটবল উপহার দেয় কলম্বিয়া। ৭২ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন নিকোলাস গঞ্জালেজের পরিবর্তে নামা দিমারিয়া। খেলার নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ লগ্নে আর্জেন্টিনা পেনাল্টি বক্সের সামনেই ফ্রি কিক পেলেও মেসির স্পট কিক ওয়ালে ধাক্কা খায়।
নির্ধারিত সময়ের শেষেই এরপরে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই শেষ হাসি হাসে আর্জেন্টিনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন