আর্জেন্টিনা: ১ (আলেজান্দ্রো গোমেজ)
প্যারাগুয়ে: ০
জাতীয় দলের জার্সিতে রেকর্ড সংখ্যক ১৪৭টি ম্যাচে খেললেন। ছুঁয়ে ফেললেন জেভিয়ের মাসচেরানোর সবথেকে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কীর্তিকে। আর মেসির এই মাইলস্টোন ম্যাচেই আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলল। ম্যাচের একমাত্র গোল করে গেলেন আলেজান্দ্রো গোমেজ।
কোপায় এর আগে প্যারাগুয়ে কোনোদিন আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি। সবমিলিয়ে কোপায় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২৫ ম্যাচই অপরাজেয় আকাশী-সাদা জার্সির দল। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এদিন এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এঞ্জেল ডি মারিয়ার থেকে দুরন্ত পাস পেয়ে আলেজান্দ্রো গোমেজ গোলকিপারকে পরাস্ত করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। সেই গোল প্রসঙ্গে ম্যাচের পরে গোমেজ ম্যাচের পরে জানান, "ডি মারিয়া যে পাস রেখেছিল, সেখান থেকে আমাকে কেবল পা ছুঁইয়ে গোলে বল রাখতে হত। সেটাই করেছি।"
আরো পড়ুন: ১৪.২ সেকেন্ডে ৯২ মিটার দৌড়ে গোল! রোনাল্ডোর গোলে হার মানল বিজ্ঞানও, দেখুন ভিডিও
হাফটাইমের আগেই ২-০ করে ফেলতে পারত আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ে ডিফেন্ডার জুনিয়র আলেন্স আত্মঘাতী গোল করে বসেছিলেন। তবে ভার-এ সেই গোল খতিয়ে দেখার পরে বাতিল করা হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে প্যারাগুয়ে দারুনভাবে শুরু করেছিল। লেফট উইং দিয়ে নিউক্যাসেল উইঙ্গার মিগুয়েল আলমিরন সমস্যায় ফেলছিলেন মেসিদের। বিরতির পর বল পজেশনে দখল নিয়ে খেললেও সমতাসূচক গোল আর করতে পারেনি। আপাতত প্যারাগুয়েকে খেলতে হবে উরুগুয়ে এবং চিলির বিপক্ষে।
২০১৯-এর নভেম্বরের পর এদিনই প্রথমবার আর্জেন্টিনা দলে শুরুর একাদশে খেললেন সের্জিও আগুয়েরো। তবে ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না তাঁকে। বরং ঝকঝকে উপস্থিতি সেই মেসি এবং ডি মারিয়ার। দুজনকে থামাতে প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডাররা যথেচ্ছ ফাউল করলেন। গোটা ম্যাচে প্যারাগুয়ের ফাউলের সংখ্যা ২৩টি।
প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতে টানা দুটো ম্যাচ জিতে ফেলল আর্জেন্টিনা। সবমিলিয়ে ১৬টি ম্যাচ অপরাজিত লিওনেল স্কালোনির দল। শেষবার আর্জেন্টিনা হেরেছিল ২০১৯-এ কোপার সেমিফাইনালে। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে কোপার সেমিফাইনালে মেসিরা।
গ্রুপ এ-তে দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিলির পয়েন্ট ৫। চিলি সোমবারই ড্র করল উরুগুয়ের সঙ্গে। তৃতীয় স্থানে থাকা প্যারাগুয়ের পয়েন্ট ৩ এবং উরুগুয়ের ১। বলিভিয়া গ্রুপ এ-র সবথেকে নীচে। দুটো ম্যাচ খেলে কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন