ব্রাজিল: ৪ (এলেক্স স্যান্দ্রো, নেইমার, এভার্টন রিবেইরো, রিচার্লিসন)
পেরু: ০
৪-০ গোলে পেরুকে উড়িয়ে দিয়ে ব্রাজিল কোপায় টানা দুটো ম্যাচে জয় পেল। শুক্রবার সকালে পেরুকে কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি সাম্বার দেশের ফুটবলাররা। ম্যাচের স্কোরলাইনেই তা স্পষ্ট
প্রথমার্ধেই এলেক্স স্যান্দ্রো ব্রাজিলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে নেইমারের একটি পেনাল্টি আবেদন ভার নাকচ করে দেয়। তারপরে নেইমার নিজে একটি গোল করে। পরিবর্ত হিসাবে নামা এভার্টন রিবেইরো স্কোরলাইন ৩-০ করেন। শেষদিকে রিচার্লিসন ৪-০ করে ব্রাজিলের টানা দুটো ম্যাচে জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের একপেশে ফলাফলে হতাশ পেরু। ম্যাচে কিছু কিছু সময় পেরু শক্তিশালী ব্রাজিল কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেও, সেলেকাওদের আক্রমণের কোনো উত্তরই ছিল না পেরুর কাছে।
ভেনেজুয়েলা ম্যাচের জয়ী একাদশ থেকে এদিন ব্রাজিল কোচ তিতে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটান। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে এডের মিলিতাওয়রের সঙ্গে এদিন পার্টনারশিপ বাঁধেন থিয়াগো সিলভা। গোলকিপার পজিশনে এলিসনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় এডারসনকে। হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসাবে ফ্রেডের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ফ্রেড।
আরো পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের জট ছাড়াতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ সমর্থকরা! কর্তা-বিনিয়োগকারী অটল দু-পক্ষই
তবে ফরোয়ার্ড লাইনে সবথেকে বড়সড় পরিবর্তন ঘটান তিতে। টোকিও অলিম্পিক স্কোয়াড থেকে বাইরে রাখা নেইমারকে তিনি শুরুর একাদশে রাখেন।
ম্যাচের শুরুটা খারাপ করেনি পেরু। বল পজেশনে তারকা খচিত দলকে সেয়ানে সেয়ানে টেক্কা দিচ্ছিল পেরু। তবে ১১ মিনিটেই গোল করে ম্যাচের দিক বদলে দেন এলেক্স স্যান্দ্রো। বাঁ দিক থেকে দুরন্ত ক্রস তুলেছিল নেইমার। গোলের একদম সামনে থাকা গ্যাব্রিয়েল জেসাসের কাছে বল পৌঁছনোর পর তিনি স্যান্দ্রোর কাছে পাস রাখেন। সেই বল ধরেই গোল করে যান ক্লাব ফুটবলে রোনাল্ডোর জুভে সতীর্থ তারকা লেফট ব্যাক।
গোল হজম করেও দমে যায়নি পেরু। একাধিকবার ব্রাজিল রক্ষণে বেগ দিতে থাকে পেরু। তবে দারুণ রক্ষণাত্মক সংঘটন এবং দুরন্ত গোলকিপিং সক্ষমতায় বিরতির আগে আর গোল পায়নি পেরু। ৬০ মিনিটে বক্সের মধ্যে নেইমারকে ফেলে দেন টাপিয়া। তবে ভার প্রযুক্তিতে বারবার খতিয়ে দেখার পর পেলান্টির আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকেই বঞ্চিত হওয়ার পরে নেইমার ঠিক আট মিনিট পরেই গোলদাতার তালিকায় নাম লেখান। বটম কর্ণার থেকে লো শটে পরাস্ত করেন পেরু গোলকিপারকে।
এরপরে ম্যাচের শেষ চার মিনিটে আরো দুটো গোল হজম করে পেরু। ৮৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে রিচার্লিসনের পাস থেকে স্কোর ৩-০ করেন এভার্টন রিবেইরো। সংযোজিত সময়ের ৩ মিনিটের মাথায় রিচার্লিসন নিজে স্কোর ৪-০ করেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন