Advertisment

কীভাবে নিউজিল্যান্ড করোনা-মুক্ত, জানালেন নিশাম

নিউজিল্যান্ড সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিউই সরকারের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল শেষ বার কোনো ব্যক্তি অজ্ঞাতপরিচয় সোর্স থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা মুক্ত নিউজিল্যান্ড। সোমবারই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, শেষ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। এরপরেই নিউজিল্যান্ড আপাতত করোনা মুক্ত। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডে আপাতত একজন ব্যক্তিও করোনা সংক্রমণের কবলে নেই। শেষ ১৭ দিন নতুন কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধানও পাওয়া যায়নি।

Advertisment

নিউজিল্যান্ড সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিউই সরকারের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল শেষ বার কোনো ব্যক্তি অজ্ঞাতপরিচয় সোর্স থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন।

করোনা মুক্ত হওয়ার পরই ফার্ন পাতার দেশ আপাতত সেলিব্রেশনের মেজাজে। স্পোর্টস স্টেডিয়ামে ঠাসা ভিড় করা হোক, বা মিউজিক্যাল কনসার্ট এ একে অন্যকে আলিঙ্গন করা, যাতায়াতের সময় কড়া নিয়মবিধি মুছে ফেলা- বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এমনটাই করতে চলেছে নিউজিল্যান্ড।

দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তারকা ক্রিকেটার জিমি নিশাম। বিশ্বকাপের ফাইনালের ট্র্যাজিক হিরো সোমবার একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন কোন তিন কারণে নিউজিল্যান্ড করোনা মুক্ত হল। জিমি নিশাম লেখেন, "করোনা ভাইরাস মুক্ত নিউজিল্যান্ড! প্রত্যেককে শুভেচ্ছা। আরো একবার কিউয়িদের তিনটে বৈশিষ্ট্য নজরে এল- সঠিক পরিকল্পনা, দৃঢ়তা এবং কাজের প্রতি টিমওয়ার্ক!"

সোমবারই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডেন সাংবাদিক সম্মেলন করে সুখবর জানান, "আপাতত নিউজিল্যান্ডে ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা এই বিষয়ে আত্নবিশ্বাসী। এই সংক্রমণ রোধ একদিনে হয়নি। ক্রমাগত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।"

পাশাপাশি তিনি আরো জানান, "আমরা এখানে আরো সংক্রমণের বিষয়ে খতিয়ে দেখব। আরো একবার বলছি, পুরো বিষয়টাই আরো একবার দেখতে হবে আমাদের। এর অর্থ এই নয় যে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এটা ভাইরাসের চরিত্রের বাস্তব ঘটনা। যদি আবার সংক্রমণ হয়, তাহলে আমরা সেজন্যও প্রস্তুত।"

New Zealand COVID-19
Advertisment