অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের বিশ্বকাপ হার মহাসমারোহে গোটা দেশ জুড়ে সেলিব্রেট করা হয়েছিল। তবে সেই অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকেই এবার বাংলাদেশ সিরিজ আয়োজন নিয়ে টালবাহানা চালু হয়ে গেল। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী মার্চেই বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলার পর বাংলাদেশ আপাতত নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। তারপরেই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে বাংলাদেশ। সূচি অনুযায়ী।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এই সিরিজ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের তরফে। বলা হয়েছে, এই সিরিজ যেন অগাস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়।
ক্রিকবাজ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার তরফে অনুরোধে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেলবোর্নে বার্ষিকী টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি হিসাবে বাংলাদেশ টেস্ট আয়োজন করতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া।
এমনিতে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর মাত্র একবারই সাকিব আল হাসানরা অস্ট্রেলিয়ার তরফে খেলতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। ২০০৩-এ বাংলাদেশ মাত্র এক টেস্ট খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ায়। তারপর দীর্ঘ ২০ বছর কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশ ডাক পায়নি অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে।
এমনকি অস্ট্রেলিয়াও বারবার বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। ২০১৮-য় বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিনটে ওয়ানডে খেলার কথা ছিল। তবে অজি সম্প্রচারকারী সংস্থা এই সিরিজ নিয়ে ব্রডকাস্টিংয়ে আগ্রহ দেখায়নি। ২০১৫-য় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ সফরে যেতে অস্বীকার করেন নিরাপত্তার কারণে। ২০১৭-তেও মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই দলের। তবে করোনা ভাইরাসের জন্য বন্ধ হয়ে যায় এই সিরিজ।
এবারেও সিরিজ আয়োজন নিয়ে টালবাহানা করল অস্ট্রেলিয়া। বরং স্থগিত করে এই সিরিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্রেফ প্রস্তুতি ম্যাচ হিসাবে ভাবা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে কার্যত অসম্মানিত-ই হল বাংলাদেশ।