Afghanistan vs Australia bilateral series: আগামী অগাস্টেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তবে মানবাধিকার ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে সেই সিরিজে অংশগ্রহণ স্থগিত করল অস্ট্রেলিয়া দল। সোমবারই এমন ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, "অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ২০২৩-এর মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত করেছিল আফগানিস্তানে শিশু এবং মহিলাদের ওপর মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায়। দেশটিতে নারী এবং শিশুদের পরিস্থিতি উন্নতির জন্য ঠিক হয়েছিল আমরা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা চালিয়ে যাব। গত বারো মাস ধরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে অস্ট্রেলীয় সরকারের সঙ্গে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সময়ে আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতি মোটেই উন্নতি হয়নি। এই কারণে আমরা নিজেদের পূর্বের অবস্থানই বজায় রাখলাম। দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক আপাতত স্থগিত করা হল।"
তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর নারী শিক্ষা, খেলাধুলো এবং চাকরিতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করার পর গত বছরের মার্চের সিরিজের আগে জানুয়ারিতে আফগানিস্তানে যেতে অসম্মত হয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল।
অস্ট্রেলিয়ার সফর স্থগিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন একাধিক প্ৰথম সারির আফগান তারকা। রশিদ খান নিজের টুইটারে লেখেন, "মার্চের সফর থেকে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের সরিয়ে নেওয়ায় আমি রীতিমত হতাশ। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় গর্বের। বিশ্ব পর্যায়ে আমরা অগ্রগতি ঘটিয়েছি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্ত আমাদের আবার পিছিয়ে দিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা যদি এতই অস্বস্তিকর হয় তাহলে আমিও কাউকে অসুবিধায় ফেলে বিবিএল-এ অংশগ্রহণ করতে চাইনা। এই টুর্নামেন্টে আমার উপস্থিতি নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করব।"
মহম্মদ নবি লিখেছিলেন, "ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর তীব্র নিন্দা করছি। ক্রিকেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে আমরা দেখিয়েছি আমরাও কোনও দেশের থেকে কোনও অংশে কম নই।"
অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান দুই দল শেষবার ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯২ রান চেজ করে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর করে।