জার্মানিতে ফুটবল ফিরছে। ক্রিকেটে ফেরার তোড়জোড়ও চালু করে দিচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। করোনা রুখতে নতুন গ্যাজেট উদ্ভাবন করা হয়েছে। সেই প্রযুক্তিকে সঙ্গে করেই প্রাক মরশুম অনুশীলন করবেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেনিং চালু করতে চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। প্রধান মেডিকেল অফিসার জন অৰ্চার্ড এবং স্পোর্টস সায়েন্স, স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আলেক্স কৌন্টরিস থাকবেন অনুশীলন চলাকালীন।
এই দুই বিশেষজ্ঞই বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা সারছেন ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার জন্য। পাশাপাশি আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কমিটিতেও রয়েছেন জন অৰ্চার্ড ও আলেক্স কৌন্টরিস।
ক্রিকেট মাঠে কী কী অনুশাসন, নিয়মবিধি মেনে চলা হবে, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞর ভূমিকা পালন করছেন তাঁরা। আপাতত ক্রিকেট মাঠের প্রটোকল হিসাবে অনুশীলনের সময় ক্রিকেটাররা যাতে বল সাইন করার জন্য ঘাম ব্যবহার না করেন তাও সুনিশ্চিত করা হবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের প্রধান আলেক্স কৌন্টরিস বলেছেন, "নেটে সোশ্যাল ডিস্টান্স মেনে চলতে হবে। একটি নেটে তিনজনের বেশি থাকা চলবে না। একসঙ্গে একজন বোলারই থাকবে। ব্যাটসম্যান ২২ গজ দূরে থাকবে। এটা সমস্যা হবে না। এগুলো সমস্যা নয়। তবে বেশ কিছু বিষয় ক্রিকেটারদের বলা হচ্ছে বারবার- শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখো, বল ব্যবহার করার সময় কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে!"
ক্রিকেট মাঠ কতটা বদল দেখা যাবে, তাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, "উইকেট নেওয়ার পর হাই ফাইভ একদমই নয়। দূরত্ব বজায় রেখে হার্ডল করা যেতে পারে। যতদিন না প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।"
সেইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, "অন্যকোনও ভাবে সেলিব্রেট করার উপায় খুঁজতে হবে। পুরোনো অভ্যেস রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব নয়, তবে নতুন উপায় ধীরে ধীরে রপ্ত করে ফেলবেন ক্রিকেটাররা।"