সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটার বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। সেসবের প্রত্যুত্তর দিয়েছেন যথারীতি। আর টেস্টের একাদশে প্রত্যাবর্তনেই শতরান উদযাপন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রোহিত বন্দনা চলছেই। তা থামার কোনও ইঙ্গিত-ই নেই। বিশ্বকাপ থেকেই ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। বিশ্বকাপের ফর্মের কথা মাথায় রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টের স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছিল রোহিত শর্মাকে। তবে প্রথম একাদশে সুযোগ জোটেনি।
লোকেশ রাহুলের খারাপ ফর্ম আবার প্রত্যাশিতভাবেই রোহিত শর্মার কাছে প্রথম একাদশে ঢোকার সুযোগ এনে দিয়েছে। আর প্রত্যাবর্তনেই রোহিত চমকে দিয়েছে। টেস্ট কেরিয়ারে নিজের চতুর্থ শতরান করে ফেলেছেন সুযোগ পেয়েই। টেস্ট ওপেনার হিসেবে রোহিতের শতরান অবশ্য এবারেই প্রথম।
৩২ বছরের তারকা টেস্টে নামার আগে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে নেমেছিলেন বোর্ড সভাপতি একাদশের জার্সিতে। সেখানে ব্যাট রান না করেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তবে টেস্টের বাইশ গজে সেই ছাপ পাওয়াই গেল না। প্রোটিয়াজদের বোলিং বিভাগকে বলা হচ্ছিল, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। তবে বিশাখাপত্তনম টেস্টের প্রথম দিনের পরে কিন্তু ভার্নন ফিলান্ডার, রাবাদারা বেশ হতাশ করলেন। ফিলান্ডার-রাবাদা-কেশব মহারাজদের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধেই নিশ্চিন্তে খেলে গেলেন রোহিত। ছক্কা, চারের ঝুলঝুরি ছোটালেন বাইশ গজে। খেলা শেষ পর্যন্ত রোহিত ১৭৪ বলে ১১৫ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। মায়াঙ্ক আগারওয়ালও শতরানের সামনে। ১৮৩ বলে ৮৪ রানে নট আউট তিনি। টেস্টে এটি রোহিতের চতুর্থ সেঞ্চুরি। তবে ওপেনার হিসেবে রোহিত প্রথমবার পাঁচ দিনের ক্রিকেটে শতরান করলেন বুধবার।
শুরুতে প্রোটিয়াজদের পেসারদের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক নীতি নিয়েছিলেন রোহিত। তবে ক্রিজে টিকে যেতেই রোহিত স্বমূর্তিতে। নিজের ইনিংসে এখনও পর্যন্ত একডজন বাউন্ডারি এবং ৫টা বিশাল ছক্কা হাকিয়েছেন। ২০১৮-তে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরে এই বিশাপত্তনমেই শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন রোহিত। টেস্টের প্রথম একাদশে প্রত্যাবর্তনও হয়ে থাকল বিশাখাপত্তনম। ম্যাচেই আগেই ওপেনার রোহিতে নিজের আস্থার কথা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিয়েই যেন এদিনের শতরান।
প্রসঙ্গত, রোহিত শর্মা দেশের জার্সিতে ২৮টি টেস্ট খেলেছেন। ৩৯.৬২ গড়ে তার মধ্যে রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি ১০টি হাফ সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন তিনি।
Read the full article in ENGLISH