করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করার সঙ্গেসঙ্গেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে ক্লোজড ডোরে টুর্নামেন্ট আয়োজনের বার্তা দিয়েছেন। তবে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতে ক্রিকেট খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। যতদিন না করোনা সংক্রমণে রাশ টানা যায় ততদিন ক্রিকেট খেলাই সম্ভব নয়।
করোনায় গোটা ক্রীড়াবিশ্বই থমকে গিয়েছে। সর্বত্র ক্রীড়া ইভেন্ট হয় বাতিল নাহলে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যেই বুন্দেশলিগা মেজর কোনো ক্রীড়া টুর্নামেন্ট হিসাবে মে মাসে শুরু করা হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে বুন্দেশলিগার পক্ষ থেকে।
তবে সৌরভ জানাচ্ছেন, "জার্মানি ও ভারতের সামাজিক বাস্তবতা মোটেই এক নয়। অদূর ভবিষ্যতে এদেশে ক্রিকেট ইভেন্ট হওয়ার সম্ভবনা নেই। কারণ এখানে অনেক প্রশ্ন জড়িয়ে। ব্যক্তিগতভাবে জীবন যেখানে সংকটের মুখে সেখানে খেলায় আমি বিশ্বাস করি না।"
সৌরভের কথাতেই পরিষ্কার, যতদিন করোনার প্রতিষেধক না পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন অন্তত আইপিএল আয়োজন করা হবে না। সৌরভ প্রকারন্তরে কার্যত স্বীকারই করে নিলেন আইপিএল সম্ভবত চলতি মরশুমে বাতিল করা হতে পারে।
সৌরভের কথায় সায় দিয়েছেন হরভজনও। টারবুনেটর জানিয়েছেন, "আইপিএল দল যখন কোথাও যায় তখন বিমানবন্দর, হোটেল, স্টেডিয়ামের বাইরে কাতারে কাতারে সমর্থকরা হাজির থাকেন। লকডাউনের সময় এতে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব? করোনা ভ্যাকসিন বাজারে না আসা পর্যন্ত আইপিএল খেলা উচিত হবে না।"
আইপিএল নিয়ে অবশ্য অন্য মত প্রকাশ করেছিলেন গাভাস্কার। তিনি বলেছিলেন, "পরের বছর বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা ভারতের। ভারতে যেহেতু করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে তাই ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নিয়ে অদল বদল করে নিতে পারে। এই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারত টুর্নামেন্টের আয়োজন করে পরের বছর অস্ট্রেলিয়া দায়িত্ব নিতে পারে। আর বিশ্বকাপের আগে আইপিএল আয়োজন করতে পারে বিসিসিআই। এতে ক্রিকেটাররা ম্যাচ প্র্যাকটিসও করে নিতে পারবেন।"