দ্বাদশতম বিশ্বকাপের যবনিকা পতন আজ। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই লর্ডসে বিশ্বকাপ হাতে তুলবেন ইয়ন মর্গ্যান বা কেন উইলিয়ামসনের মধ্যে কেউ একজন। বাইশগজ পাবে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ফাইনাল ল্যাপে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্য়ান্ড। ফাইনালের আগে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের কিছু জানা-অজানা তথ্য়।
ওয়ান-ডে ক্রিকেটের প্রথম হিট উইকেট
১৯৭৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে অজি কিংবদন্তি ডেনিস লিলির বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারসাম্য় রাখতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের রয় ফ্রেডেরিকস। তাঁর পা এসে ধাক্কা পারে স্টাম্পে। ওয়ান-ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম হিট উইকেটে আউট।
রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস আজও দ্রুততম
২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শোয়েব আখতার বল করেছিলেন ১৬১.৩ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। মাইলের হিসেবে ১০০.২ প্রতি ঘণ্টায়। শুধু বিশ্বকাপ নয়, ক্রিকেটের ইতিহাসেই দ্রুততম ডেলিভারির বিশ্বরেকর্ড
ফাইনালে দু'বার কয়েন টস
২০১১ ফাইনালে ওয়াংখেড়েতে টস করতে আসেন ভারতের এমএস ধোনি ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। ম্য়াচ রেফারি কয়েন ফ্লিপ করেন, সাঙ্গাকারা বলেন 'হেড'। কিন্তু মাঠে দর্শকদের আওয়াজে তাঁর কল শোনা যায়নি। ফের টস করা হয়, সাঙ্গা দ্বিতীয়বার হেড বলেন ও টস জেতেন
ইডেনের লজ্জা, ১৯৯৬-এর সেমি
ক্রিকেটের স্বর্গোদ্য়ানে সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত-শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রের ২৫১ রান তাড়া করতে নেমে শচীন তেন্ডুলকর ৬৫ রান করে আউট। এবং এরপরেই উইকেটের মিছিল, ভারতের স্কোর ৯৮-২ থেকে ১২০-৮। ক্রোধে উন্মত্ত দর্শক গ্য়ালারিতে আগুন জ্বালিয়ে মাঠে জলের বোতল ছুড়ে ম্যাচ বন্ধ করে দেয়। পরে শ্রীলঙ্কা জয়ী ঘোষিত হয়
ফিল্ডারের ক্যাচে মাঠে ভূমিকম্প
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত-বারমুডা ম্য়াচ। বারমুডার হয়ে ফিল্ডিং করছিলেন ডোয়েন লেভেরক। স্লিপে বল ধরার সময় মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সতীর্থরা তাঁর ফিল্ডিংয়ের প্রশংসা না-করে ভাবেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আম্পায়ারদেরও তাই মনে হয়েছিল। ঘটনাচক্রে লেভেরকের ওজন ছিল ১২৭ কেজি!
মিয়াঁদাদের বাঁদর লাফ
১৯৯২ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি। জাভেদ মিঁয়াদাদের উইকেটের জন্য় মরিয়া ভারত। তাঁকে বিব্রত করার জন্য় উইকেটকিপার কিরণ মোরে বারবার আউটের আবেদন করছিলেন। মিঁয়াদাদ বিরক্ত হয়ে মোরের দিকে তাকিয়ে ক্রিজের মধ্য়ে তিনবার লাফ দেন। সেদিন থেকে যা 'মাঙ্কি জাম্প' নামেই পরিচিত।