রবিবাসরীয় লর্ডস সাক্ষী থেকেছে বিশ্বকাপের সবচেয়ে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের। ক্রিকেটের শো-পিস ইভেন্টের দ্বাদশ সংস্করণের মতো ফাইনাল এর আগে প্রত্য়ক্ষ করেনি বাইশ গজ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ম্য়াচ অমীমাংসিত থাকায় টাই ব্রেক করার জন্য় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু ৬ বলেও ফয়সলা হয়নি ম্য়াচের। সুপার ওভারও টাই হয়ে যায়।
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী সুপারওভারেও যদি ম্য়াচ টাই থাকে, তাহলে যে দলের চার-ছয়ের সংখ্য়া বেশি থাকবে তাদেরকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। ইংল্য়ান্ড পুরো ম্য়াচে ২৬টি চার মেরেছিল। নিউজিল্য়ান্ডের ব্য়াট থেকে এসেছিল ১৭টি চার। বেশি চার মারার বিচারে বিশ্বকারপের শিরোপা ওঠে ইয়ন মর্গ্য়ানের ইংল্য়ান্ডের হাতে। ভাগ্য়ের করুণ পরিহাসে ২০১৫-র পর ফের একবার ফাইনালে এসেই তরী ডোবে নিউজিল্য়ান্ডের।
আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে ইংল্যান্ডকে অতিরিক্ত ১ রান! অবিচারের শিকার কিউয়িরা
চার-ছয়ের বিচারে বিশ্বকাপের ভাগ্য় নির্ধারণ হওয়ার বিষয়টা রীতিমতো চমকে গিয়েছে বাইশ গজ। ক্রিকেটাররা টুইট করে তাদের মতামত জানালেন এই অদ্ভূত নিয়মের বিরুদ্ধে। কারোর মতে এটা অত্য়ন্ত আশ্চর্যজনক, কারোর মতে এটা অত্যন্ত নিঠুর।
Difficult to digest this more boundary rule. Something like sudden death- continuous super overs till a result is a better solution. Understand, wanting a definite winner but sharing a trophy is better than deciding on more boundaries. Very tough on New Zealand. #EngVsNZ
— Mohammad Kaif (@MohammadKaif) July 14, 2019
Some rules in cricket definitely needs a serious look in.
— Rohit Sharma (@ImRo45) July 15, 2019
Don't understand how the game of such proportions, the #CWC19Final, is finally decided on who scored the most boundaries. A ridiculous rule @ICC. Should have been a tie. I want to congratulate both @BLACKCAPS & @englandcricket on playing out a nail biting Final. Both winners imo.
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) July 14, 2019
Congratulations to England!
Commiserations New Zealand.
I’ve got to say that it’s a horrible way to decide the winner. This rule has to change.— Brett Lee (@BrettLee_58) July 14, 2019
Cruel!
— Stephen Fleming (@SPFleming7) July 14, 2019
The DL system is actually based on runs and wickets lost... yet the Final result is only based on Boundaries hit? Not fair in my opinion. Must have been great to watch!
— Dean Jones (@ProfDeano) July 14, 2019
৬ বলের ভাগ্য নির্ধারককারী ম্য়াচে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ব্য়াটে করা দলকে আগে ফিল্ডিং করতে হয়। ইংল্য়ান্ড প্রথমে ব্য়াট করে। বেন স্টোকস আর জস বাটলার নামেন ব্য়াট করতে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ইংল্য়ান্ডের ওপেনিং জুটি ১৫ রান তোলে। এর মধ্য়ে স্টোকস করেন ৮ রান, বাটলার যোগ করেন আরও ৭। বিশ্বজয়ের জন্য় ইংল্য়ান্ডের টার্গেট হয় ১৬। নিউজিল্য়ান্ডের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন জিমি নিশাম ও মার্টিন গাপটিল। জোফ্রা আর্চার ওভারটা ওয়াইড দিয়ে শুরু করেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি রীতিমতো চাপে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের পরিহাসে সুপার ওভারটা টাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর ম্য়াচে বেশি চার মারার বিচারে ইংল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।