অবশেষে মাঠে ফিরলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তিন মাস পরে মাঠে ফেরা অবশ্য সুখকর হল না সিআরসেভেনের কাছে। নিজে পেনাল্টি মিস করলেন। জুভেন্টাসও গোলশূন্য ড্র করল ১০ জনের এসি মিলানের কাছে। ড্র করলেও জুভেন্টাস কোপা ইটালিয়ার ফাইনালে পৌঁছে গেল গোল পার্থক্যের হিসাবে।
আওয়ে ম্যাচে প্রথম লেগে এসি মিলানের বিপক্ষে ফেব্রুয়ারিতে ১-১ ড্র করে রোনাল্ডোর ক্লাব। সেই এওয়ে গোলের হিসাবেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে জুভেন্টাস। ফাইনালে জুভে-কে নাপোলি অথবা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হতে হবে। অন্য লেগের ম্যাচে নাপোলি-ইন্টার মিলান নামছে এদিন শনিবারই।
এলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে এদিন ক্লোজড ডোর ম্যাচে বলার মত বিষয় দুটো। এক, ম্যাচের ১৬ মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করে জুভেন্টাস। প্রতিপক্ষ ফুটবলার আন্দ্রে কন্টি র হ্যান্ডবলে প্রাপ্ত পেনাল্টি অবশ্য সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ জুভে। কারণ স্বয়ং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই যে মিস করে বসলেন! প্রথম লেগের ম্যাচে রোনাল্ডোই পেনাল্টি থেকে দলকে কাঙ্খিত পয়েন্ট এনে দিয়েছিলেন। এদিন উলটপুরাণ! বারপোস্টে আছড়ে পড়ে রোনাল্ডোর শট।কেরিয়ারের দু বছর জুভেতে থাকার সময় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পেনাল্টি মিস করলেন মহাতারকা।
এর পরে ৩০ মিনিটে এসি মিলানের অন্তে রাবিচ দানিলো কে লক্ষ্য করে সজোরে শট নিলে রেফারি লাল কার্ড দেখাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। ৭০ মিনিটের বেশি প্রতিপক্ষ ১০ জন হয়ে গেলেও এর সুবিধা নিতে পারেনি জুভেন্টাস।
এদিন এসি মিলানের জার্সিতে ছিলেন না জলাটান ইব্রাহিমোভিচ। কাফ মাসলে চোটের কারণে বাইরেই ছিলেন তিনি। সেই কারণেই মিলানের আক্রমণভাগ কার্যত ডাহা ব্যর্থ। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে হাকান কালহাঙগ্লু-র হেডার ছাড়া মিলানের আক্রমণ নিয়ে বলার কিছু নেই।
ম্যাচের পর জুভের তারকা ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি জানান, "৯০ দিন পর খেলতে নামলাম, তাও আবার ফাঁকা স্টেডিয়ামে। শুরুতে অদ্ভুত এক আবেগ গ্রাস করেছিল আমাদের।" ম্যাচের পর প্রথাগত সাংবাদিক সম্মেলন করলেন না জুভে বস মোরিসিও সারি। অন্যদিকে, এসি মিলানের কোচ স্টেফানো পালি জানালেন, প্রথম পর্বে গোল হজম করার বিষয় এবং এদিনের লাল কার্ড দেখার প্রসঙ্গ। "ফলাফলেই স্পষ্ট। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম ছিল। ওদের থেকে খুব খারাপ আমরা খেলিনি।" বলছেন তিনি।