/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/ronaldo-1.jpeg)
রোনাল্ডো ডায়েট নিয়ে এবার খুল্লামখুল্লা তথ্য ফাঁস করলেন আল নাসেরের পুষ্টিবিদ হোসে বলিয়া। তিনি জানাচ্ছেন, দুটো আলাদা রেস্ট মিটার্স ব্যবহার করেন সিয়ারসেভেন- ফিটনেস রিং এবং ব্রেসলেট।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম আইডিয়াল-কে হোসে বলেছেন, "পুষ্টি সম্পর্কে ক্রিশ্চিয়ানোর বেশ ভালোমত জ্ঞান রয়েছে। প্রত্যেক ম্যাচ এবং অনুশীলনে এনার্জিতে যাতে খামতি না থাকে, সেই জন্য বিভিন্ন ধরণের খাবার খেয়ে থাকে।"
তিনি জানাচ্ছেন, রোনাল্ডোর এই কড়া ফিটনেস নিয়ম-নীতি বাকিদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছে। "রোনাল্ডো সৌদিতে আসার পর থেকেই বাকিরা অনুশীলনে আরও নিজেদের নিংড়ে দিচ্ছে। এই আগে এমন কোনও ক্লাব দেখিনি, যেখানে ফুটবলাররা প্রত্যেক সেশনে বডি কম্পোজিশনে ৯০ শতাংশ উন্নতি করছে। শরীরের ফ্যাট শতাংশ আরও কমছে। পেশি আরও মজবুত হচ্ছে। সমস্ত ধরণের ব্যায়াম করছে ওঁরা। এখানে কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের।" বলেছেন আল নাসেরের পুষ্টিবিদ।
অন্যদের মত তিনিও রোনাল্ডোর সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে ছিলেন। জানাচ্ছেন ব্লেসা। " ও সর্বকালের সেরা। অথবা সেরা দু-একজনের মধ্যে অন্যতম। ওঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হবে, তা জানার জন্য আমিও সংশয়ে ছিলাম। ভাবছিলাম ক্লাবের গঠনেও হয়ত বিরাট কিছু বদল হবে। তবে ওঁর মত একজন পেশাদার ফুটবলার আর দেখিনি।"
"ওঁর সঙ্গে প্রত্যেকবার কথা বলেই অনেক কিছু জানতে পারি। আমরা মূলত ডায়েট নিয়ে কথাবার্তা বলি। দলে ওঁর এবং বাকিদের গুরুত্ব কতটা, সেটা নিয়েও কথা হয়। ও দুটো রেস্ট মিটার্স ব্যবহার করে। একটা রিং এবং ব্রেসলেট।" বলেছেন তিনি।
স্পেশ্যাল ডিজাইনের আংটি রোনাল্ডোর শরীরের ঘুম সহ যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কর্মকান্ডের হদিশ রাখে। রোনাল্ডো কখন ঘুমাচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে, সমস্ত তথ্য এই আংটি জমা রাখে। এছাড়াও হৃদগতি, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণ, শরীরের তাপমাত্রা, চলা-ফেরা সব হদিশ রাখে।"
"ক্রিশ্চিয়ানো আমাকে অনেক সাহায্য করে। ওঁকে তো আমাদের শেখানোর কিছুই নেই। নিজের চারপাশে ও একটা বিদ্যালয় সুলভ পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। সকলেই ওঁকে ফলো করে। কারণ সকলেই নিজেদের পারফরম্যান্স উন্নত করতে চাইছে। অনুশীলনে ওই প্রথম আসে, সকলের শেষে বেরোয়। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা দুর্ধর্ষ অভিজ্ঞতা।"
Read the full article in ENGLISH