শেষবেলা অতটা রঙিন হল না। মাথা নিচু করে অঝোর ধারায় কাঁদতে কাঁদতে বিদায় ঘটল মহানায়কের। আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিদায়বেলায় চুপ থাকলেন না বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। সুইজারল্যান্ডের পর মরক্কো ম্যাচেও রোনাল্ডোকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার জন্য ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসকে।
রোনাল্ডোকে উদ্দেশ্য করে জর্জিনা ম্যাচের পরেই ইনস্টাগ্রাম-স্টোরিতে লিখে দেন, "আজ তোমার বন্ধু এবং কোচ ভুল সিদ্ধান্ত নিল। সেই বন্ধু যাঁর জন্য তুমি একসময় প্রশংসায় ভরিয়ে দিতে, শ্রদ্ধার কথা বলতে। সেই একই ব্যক্তি যে এদিন দেখল তুমি মাঠে নামার পরে সবকিছু কীরকম বদলে গেল, তবে তখন বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোকে বাদ দেওয়া ঠিক সিদ্ধান্ত! বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েই বিষ্ফোরণ পর্তুগাল কোচ স্যান্তোসের
"বিশ্বের সেরা ফুটবলার যে তোমার সবথেকে ধারালো অস্ত্র তাঁকে তুমি কখনই নিচু ভাবে দেখতে পারো না। জীবন আমাদের শিক্ষা দেয়। আজ আমরা হারিনি। আমরা শিখলাম। আমরা সবসময় তোমার প্রশংসা করে যাব।"
রোনাল্ডোর বোন কাতিয়া অভিয়েরা কিংবদন্তি দাদার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লিখেছেন, "এটাই আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আমাদের এটাই শেষ। বিশেষ করে আমার তো বটেই। যে গল্প ও লিখেছে সেই গর্ব আজীবন আমার কাছে থাকবে। তোমার জন্য অনেক মহিমা নিয়ে আমরা একসঙ্গে থাকব।"
রোনাল্ডোর অন্য বোন এলমা আরও চাঁচাছোলা ভাষায় লিখেছেন, "এই হারের জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের তালিকার জন্য অপেক্ষা করছি। পর্তুগালের যাঁরা মহান বিশেষজ্ঞ (ওহ, ওঁরা তো এখন নেই) তাঁরা হয়ত নিজেদের চাকরির জন্য চিন্তিত।"
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর স্বপ্ন দুমড়ে মুচড়ে দিল নির্মম মরক্কো! বিশ্বকাপ ‘লাল কার্ড’ দেখালো পর্তুগালকেও
মরক্কোর কাছে হারের পর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন সুপারস্টার। ৩৭ বছরের রোনাল্ডোর কাছে এবারই বিশ্বকাপ জেতার শেষ সুযোগ ছিল। দলের প্রয়োজনের সময় রোনাল্ডো যেভাবে জ্বলে ওঠেন নিয়মিত, সেরকমভাবে মেলে ধরতে পারলেন না নিজেকে। শনিবার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্ৰথম একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন সিআরসেভেন। ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় রোনাল্ডোকে কোচ স্যান্টোস দ্বিতীয়ার্ধে নামান। তবে রোনাল্ডোর একমাত্র গোলের সুযোগ বাঁচিয়ে দেন মরোক্কান গোলকিপার ইয়াসিন বোনু।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবথেকে বেশি গোলের মালিক রোনাল্ডো (১১৮টি)। নিজের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি তিনি। স্টেডিয়াম থেকে লকার রুম, তারপরে সোজা টিম বাসে চড়েন তিনি। মুখে টু শব্দটি না করে।