ইংল্যান্ড ১ (ট্রিপিয়ার) | ক্রোয়েশিয়া ২ (পেরিসিচ ৬৮', মান্দজুকিচ ১০৯')
মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখল ক্রোয়েশিয়া। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এই প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল তারা। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলা অমীমাংসিত থাকায় ভাগ্য নির্ধারিত হয় অতিরিক্ত সময়। ১২৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ম্যাচটি ২-১ জিতে নেয় ক্রোয়েশিয়া।
এই বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ঘরে আনতে পারে বলে মনে করেছিল ফুটবল মহলের একাংশ। কিন্তু থ্রি-লায়ন্স এই নিয়ে শেষ পাঁচটি বড় টুর্নামেন্টের চারটিতেই সেমি ফাইনালে উঠে হেরে গেল।
১৯৬৮-তে যুগোস্লোভিয়ার কাছে ইউরো, ৯০-তে জার্মানির কাছে বিশ্বকাপ, ৯৬-তে ফের এই জার্মানির কাছে ইউরো। এরপর ক্রোয়েশিয়ার কাছে এই হার।
এদিন ক্রোয়েশিয়ার তুলনায় শুরুর দিকে অনেক বেশি ছন্দবদ্ধ ইংল্যান্ড। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা। কিয়েরান ট্রিপিয়ার বিশ্বমানের ফ্রি-কিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। বিরতির আগে অফসাইডের ফাঁদে না-পড়লে হ্যারি কেনই স্কোরলাইন বদলে দিতে পারতেন। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ইভান পেরিসিচের গোল ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরায়।
এরপর অতিরিক্ত সময়ের ১০৯ মিনিটে সেটপিস থেকে মাথা ছুঁইয়ে ক্রোয়েশিয়ার নাম ইতিহাসে লিখিয়ে দেন মারিও মান্দজুকিচ। বক্সের মধ্যে প্রায় বিনা মার্কিংয়েই ছিলেন তিনি। আর একটা সুযোগ পেয়েই মাত করে দেন। আগামী রবিবার এই লুঝনিকিতেই কাপ ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে নামবে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া।