অবশেষে ক্ষমা চাইলেন সিএসকের টিম ডাক্তার মধু থোট্টাপিলিল। সেনা জওয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ করেছিলেন সিএসকে চিকিৎসক। টুইটারে সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে।
তারপরে ক্ষমা চেয়ে তিনি টুইটারে জানিয়ে দেন, "১৬ জুন একটি টুইট করি। পরে বুঝতে পারি আমার শব্দ একদমই যথার্থ নয় এবং অনিচ্ছাকৃত। আমি টুইট ডিলিট করে দিলেও, আমার টুইটের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগকে হেয় করার কোনো ইচ্ছাই যে তাঁর ছিল না, তাও স্পষ্ট করেন তিনি, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে দেশের নাগরিক, সেনাদের জন্য পাহাড়সম কাজ করে চলেছেন তা কলুষিত করার কোনো অভিপ্রায় ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে মহামারী মোকাবিলায় কাজ করে চলেছে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যেভাবে সেনা জওয়ানরা সীমান্ত রক্ষা করছেন তা সবসময় প্রশংসা করে এসেছি।"
এরপর ক্ষমা চাওয়ার সুরে বলেছেন, আমার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখা হোক।আমার টুইটে সবাইকে আঘাত দিয়েছি, এতে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
স্পোর্টস মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ মধু থোত্তাপিলিল আইপিএলের শুরু থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মঙ্গলবারই সীমান্তে হাতাহাতি সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান।
সেই প্রসঙ্গেই সেনা জওয়ানদের নিয়ে একটি টুইট করেন সিএসকে-র টিম ডাক্তার। তিনি সেই টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদির সমালোচনা করতে গিয়ে লেখেন, এবারে কফিনের গায়ে কি পিএম কেয়ার্স স্টিকার মারা থাকবে!তারপরেই সর্বস্তরে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। বিতর্কের মুখে পড়ে সেই টুইট মুছেও দেন তিনি। তবে তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সিএসকে সরিয়ে দেয় সেই বিতর্কিত ডাক্তারকে।
বিবৃতি দিয়ে সিএসকের তরফে জানানো হয়, "টিম ডাক্তার মধু থোত্তাপিলিলের ব্যক্তিগত টুইট সম্পর্কে আমরা অবহিত ছিলাম না। আপাতত তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন টুইটের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যানেজমেন্টের এই বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। একদমই রুচিহীন এই পোস্ট।”