ভারতে "ফেয়ার এন্ড লাভলি' নামের ক্রিম কেন বাজারে বিক্রি হয়। বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড্যারেন স্যামি ফের একবার বোমা ফাটালেন। আউটলুক ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিবিয়ান তারকা অলরাউন্ডার জানালেন, "ভারতের বিজ্ঞাপণ ফেয়ার এন্ড লাভলি জানাচ্ছে, যারা ফরসা তারাই একমাত্র লাভলি হয়। এর অর্থ তো এমনটাই। এটাই বর্ণবিদ্বেষ।"
মার্কিন প্রদেশে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ফেয়ারনেস ক্রিম 'ফেয়ার এন্ড লাভলি' নতুন করে নাম পাল্টাবে। কোনো বর্ণবিদ্বেষের যাতে কোনো ইঙ্গিত না থাকে, তা নিশ্চিত করবে তাঁরা।
এই বিদ্বেষ নিয়ে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে টেডএক্স হায়দরাবাদকে জানিয়েছেন, শিক্ষার গুরুত্ব। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের বক্তব্য, "এটা একটা বিস্তৃত বিষয়। আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যাকান্ড হয়ত সমাজে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি অবিচার, বৈষম্যের একটা বিদ্রোহ চালু করে গিয়েছে। এই নিয়ে মানুষ কথা বলতেও অস্বাচ্ছন্দবোধ করছেন। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কিছু শব্দ শিখেছি, যা গায়ের রং নিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে।"
এরপরে তিনি আরো বলেন, "২০১৩-১৪ সালে যে ঘটনার কথা আমি জানিয়েছি, বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে যা বলেছি তা শিক্ষার একটা অংশ। মানুষকে বোঝাতে হবে, শিক্ষা দিতে হবে কিছু শব্দ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যা অন্যদের আহত করে। আমি ভারতের অন্যতম বড় একটি কোম্পানিকে বলেছি। যে কোম্পানির অলিখিত ক্যাম্পেন ছিল এটাই যে ফরসা ব্যক্তিরাই একমাত্র সুন্দর হয়ে থাকে।"
সেই সঙ্গে তাঁর আরো সংযোজন, "আমাকে জানানো হয়েছে, এটাই ভারতীয় সংস্কৃতি। তবে সংস্কৃতি বলেই যে এটা ঠিক, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেককে উৎসাহ দিতে হবে। পাশাপাশি এই সামাজিক ইস্যুতে আরো সবাইকে শিক্ষা দিতে হবে।"
কিছুদিন আগেই স্যামি ক্রিকেট দুনিয়ায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন। স্যামি অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাঁর বেশ কিছু আইপিএল টিমমেট তাকে ‘কালু’ বলে ডাকতেন। অনেকেই আবার সেই সম্ভোধন শুনে হাসাহাসি করত।
স্যামি জানিয়েছিলেন, “গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেট খেলেছি। প্রত্যেক ড্রেসিংরুমেই আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আমি হাসান মিনহাজের শো তে জানতে পারি কীভাবে ওর সংস্কৃতিতে কালো মানুষদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়।”