/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/4-LEAD-2.jpg)
ঘৃণাবশত নয়, বরং ভালোবাসার জায়গা থেকেই 'কালু' বলা হয়েছে তাঁকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সতীর্থের কাছ থেকে এমনই বার্তা পেলেন ড্যারেন স্যামি। সেই কথাই এবার প্রকাশ্যে জানালেন তিনি।
বৃহস্পতিবার স্যামির টুইট, "প্রাক্তন সতীর্থের সঙ্গে দারুন একটা আলোচনা হল আমাদের। নেতিবাচক বিষয়ের কথা চিন্তা না করে পজিটিভ থাকার শিক্ষা পাচ্ছি। আমার ভাই আমাকে বলল, ভালোবেসেই এই কথা বলেছে। ওঁকে আমি বিশ্বাস করি।"
I’m please to say that I’ve had a really interesting conversation with one of the guys and we are looking at ways to educate rather than focusing on the negatives. My brother reassured me that he operated from a place of love ???? and I believe him. ????????????????????????
— Daren Sammy (@darensammy88) June 11, 2020
সানরাইজার্স এর সমস্যা বাড়িয়ে এর আগে তোপ দেগেছিলেন স্যামি। ইনস্টাগ্রামে ‘নলেজ ইস পাওয়ার’ নামে একটি ভিডিও পোস্ট করে স্যামি বলেন, “সম্প্রতি এমন একটা শব্দের মানে জানলাম যার অর্থ সম্পর্কে আগে অবহিত ছিলাম না। আমি প্রকাশ্যে তাদের নাম বলার আগে চাই তারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে বলুক যে এই শব্দের অন্য অর্থ রয়েছে। আমাকে যখন এই নামে ডাকা হয়েছে, পুরোটাই ভালোবেসে করা হয়েছে।”
স্যামি অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাঁর বেশ কিছু আইপিএল টিমমেট তাকে ‘কালু’ বলে ডাকতেন। অনেকেই আবার সেই সম্ভোধন শুনে হাসাহাসি করত।
স্যামি জানিয়েছিলেন, "গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেট খেলেছি। প্রত্যেক ড্রেসিংরুমেই আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আমি হাসান মিনহাজের শো তে জানতে পারি কীভাবে ওর সংস্কৃতিতে কালো মানুষদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়।”
স্যামির এমন অভিযোগের পরেই ভাইরাল হয়েছিল ইশান্ত শর্মার একটি ইন্সটা-পোস্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের সানরাইজার্স এর চার ক্রিকেটারকে- ড্যারেন স্যামি, ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার এবং ডেল স্টেইন। ২০১৪ সালের ১৪ মে সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে লেখা, “আমি, ভুবি, কালু এবং গান রাইজার্স।”
প্রবলভাবে সমালোচিত হচ্ছিলেন ইশান্ত। এদিকে, স্যামির বর্ণবিদ্বেষী অভিযোগের পরে সতীর্থের পাশে দাঁড়ান ক্রিস গেইল, ড্যারেন ব্রাভোরাও। সেই বিতর্ক মেটার ইঙ্গিত দিয়েই যেন এদিনের এই পোস্ট।